কেপটাউনের উইকেটে নাইট রাইডার্স ব্যাটসম্যানদের হিমশিম খেতে দেখে খুব একটা অবাক হইনি। বোঝাই যাচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট আর আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না ওরা। পারলে পরপর দু’টো ম্যাচ হেরে নাইটরা এমন চাপে পড়ত না।
আসলে এ রকম বাউন্স আর গতিতে ভরা উইকেটে বিপক্ষ পেসারদের সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে যে দু’জন ব্যাটসম্যানের, সেই জাক কালিস এবং গৌতম গম্ভীরই তো ফর্মে নেই। গৌতমের ক্ষেত্রে তা-ও না হয় পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সমস্যা থাকতে পারে, কালিসের ক্ষেত্রে তো তেমন ব্যাপার নেই। অবাক হচ্ছি সেই কথা ভেবেই। নিজের দেশের চেনা পরিবেশ-উইকেটে কালিস হাজার হাজার রান করেছে। কী করে ও এই টুর্নামেন্টে ফর্মে নেই সেটাই প্রশ্ন। কেপটাউনদক্ষিণ আফ্রিকায় যাকে নিউল্যান্ডস ডাকা হয়, সেখানে রাতে ব্যাট করে সফল হওয়াটা মোটেই সহজ কাজ নয়। ক্রিকেটের ইতিহাসই বলছে, দিন-রাতের ম্যাচে এখানে যারা পরে ব্যাট করেছে, বেশিরভাগ ম্যাচেই তারা ভুগেছে। কম বাউন্সের সামনে ব্যাটে ইউসুফ, সাকিবরা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ঠিকই, কিন্তু অকল্যান্ডের মিডিয়াম পেসারদের জন্য ওদের কাছে উত্তর নেই। এই টুর্নামেন্টে যদি ইউসুফ নিজেকে প্রমাণ করতে না পারে, তা হলে কবে খেলবে?
বুধবার যে উইকেটে নামতে হবে নাইটদের, সেই ডারবানের উইকেট সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ম্যাচের উইকেটের মতো। পারথেও অনেকটা একই ধরনের উইকেট থাকে। অর্থাৎ আজ অস্ট্রেলীয় দলটা এখানে প্রায় ঘরের মাঠের সুবিধা পাবে। তাই নাইটদের এই ম্যাচে অন্য রকম ব্যাটিং করে দেখাতে হবে। গৌতম বা কালিসের মধ্যে যে কোনও এক জনকে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করতে হবে। পরের দিকে রানের গতি বাড়ানোও দরকার। গৌতম বরং ম্যাকালামকে ওপেন করতে পাঠিয়ে নিজে তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসুক। তাতে ফর্মে থাকা ম্যাকালাম যেমন পছন্দের জায়গায় ব্যাট করতে পারবে, তেমন গৌতম কিছুটা চাপমুক্ত হয়ে নামতে পারবে। বোলিংয়েও কিছু পরিবর্তন দরকার। কেপটাউনে দলে ব্রেট লি-কে না দেখতে পেয়ে বেশ অবাক হয়েছি। ওকে দলে ফেরানো দরকার। প্রদীপ সাঙ্গওয়ানকেও নতুন বল দেওয়া উচিত। |