স্যর ডন ব্র্যাডম্যান বলেছিলেন, “সচিন আমারই মতো।” ক্রিকেট কিংবদন্তির সেই মন্তব্য শুনে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন সচিন। এ বার ব্র্যাডম্যানের দেশ থেকে আর এক খুশির খবর নিয়ে এলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড। অস্ট্রেলিয়া সরকার ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তির মুকুটে আরও একটি পালক জুড়ে দিতে চলেছে, সে দেশের সর্বোচ্চ সরকারি সম্মান ‘অর্ডার অফ অস্ট্রেলিয়া’ প্রদান করে। এই খবর শুনে সচিন বলেছেন, “আমি সম্মানিত।”
মঙ্গলবার ভারত সফরে এসে এই সুখবর দিলেন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী। শীঘ্রই ভারতে এসে রাজ্যসভার সাংসদ সচিন তেন্ডুলকরকে ওই সম্মান দিয়ে যাবেন গিলার্ডের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য সাইমন ক্রিন। দিল্লিতে এক ক্রিকেট ক্লিনিকে এসে এই খবর জানান গিলার্ড। বলেছেন, “আমি খুব খুশি যে, আমরা সচিন তেন্ডুলকরকে ‘অর্ডার অফ অস্ট্রেলিয়া’ দিতে চলেছি। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক নয়, এমন কাউকে সাধারণত এই সম্মান দেওয়া হয় না। তবে সচিনের মতো এক জন বিশাল মাপের ক্রিকেটারকে এই সম্মান দিতে পেরে আমরাই গর্বিত।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী খুশি হলে কী হবে, সে দেশের একাংশ মোটেই খুশি নয় এই খবরে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গিলার্ড এই খবর জানানোর পর থেকেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এই নিয়ে একের পর এক বিরূপ মন্তব্য ভেসে আসে। বেশিরভাগই অস্ট্রেলিয়া থেকে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমেও সচিনকে এই সম্মান দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। তাদের প্রধান যুক্তি ‘মাঙ্কিগেট’ কেলেঙ্কারির সময় হরভজন সিংহকে বাঁচাতে যিনি ‘মিথ্যা’ সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, তাঁকে কেন এই সম্মান প্রদান? ‘হেরাল্ড সান’ তাদের ওয়েবসাইটে এই নিয়ে একটা সমীক্ষাও করেছে। তাতে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সচিনকে সম্মান দেওয়ার বিরুদ্ধেই বেশি মতামত আসে। টুইটারে এক জন মন্তব্য করেছেন, “শেন ওয়ার্নের আগে সচিন কেন? এ অস্ট্রেলিয়া সরকারের কূটনৈতিক চাল ছাড়া আর কিছুই নয়।”
অস্ট্রেলিয়ার বহু মানুষের যখন এরকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া, তখন সচিন দক্ষিণ আফ্রিকায় বসে বলছেন, “আশা করি, আমার এই সম্মান দুই দেশের সম্পর্কের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করবে। দুই দেশের মানুষেরই অপরিসীম ক্রিকেটপ্রীতি রয়েছে। চিরকালই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ওদের বিরুদ্ধে খেলা উপভোগ করেছি। বোধহয় ক্রিকেট মাঠে এই প্রতিদ্বন্দিতাই আমাদের ক্রিকেটকে আরও উন্নত করে তুলেছে। অস্ট্রেলিয়ানদের কাছ থেকেও চিরকাল ভালবাসা পেয়ে এসেছি। আমাকে যে এই সম্মানের যোগ্য মনে করেছেন তাঁরা, এটাই আমার কাছে সম্মানজনক।”
|
প্রায় চার বছর পর রঞ্জিতে তেন্ডুলকর
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
ঠিক তিন বছর দশ মাস পর রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলতে নামছেন সচিন তেন্ডুলকর। ২ নভেম্বর থেকে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে এ মরসুমে মুম্বইয়ের প্রথম রঞ্জি ম্যাচেই খেলবেন একশো আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির মালিক। ওই ম্যাচে জাহির খানও মুম্বইয়ের হয়ে খেলবেন বলে জানিয়েছেন। আসলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি নিতেই এই ম্যাচে খেলতে চান সচিন ও জাহির। ২০০৯-এর জানুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনালে মুম্বইয়ের হয়ে শেষবার খেলেছিলেন সচিন।
|