|
|
|
|
দুই শহরে সব বড় পুজোয় সিসি ক্যামেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুজোর সময় অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দিচ্ছে পুলিশ। এ বারই প্রথম মেদিনীপুর-খড়্গপুর, দুই শহরের বড় বড় পুজো মন্ডপে ক্লোজড্ সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই শহরের পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে পৃথক বৈঠক হয়েছে। সেখানেও বড় পুজোর উদ্যোক্তাদের কাছে এই আবেদন রাখা হয়েছে। মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা থাকলে নজরদারির ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে মনে করছে পুলিশ-প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর বক্তব্য, “বড় পুজোর উদ্যোক্তাদের কাছেই আমরা এই আবেদন রেখেছি। সঙ্গে আরও কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তাঁর কথায়, “পুজোর সময় অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে সর্বত্রই নজরদারি চলবে। এ জন্য কিছু পরিকল্পনাও করা হয়েছে।”
মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহরে দু’শোরও বেশি সর্বজনীন দুর্গাপুজো হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি আবার বড় বাজেটের। সেখানে প্রচুর ভিড় হয়। গভীর রাতেও দর্শকদের ঢল নামে। বড় বাজেটের পুজোর ক্ষেত্রে বরাবরই এগিয়ে রেলশহর খড়্গপুর। এ বারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। মেদিনীপুরে সর্বজনীন পুজোর সংখ্যা বেশি হলেও বড় বাজেটের পুজো হাতেগোনা। রেলশহরের চিত্রটা একেবারে উল্টো। ক’বছর ধরেই এখানে ভিড় বাড়ছে। সাউথ ডেভেলপমেন্ট, প্রেমবাজার, সুভাষপল্লি, বোগদা এলাকায় যানজট সামলাতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। একই ছবি মেদিনীপুরের রাঙামাটি, বার্জটাউন, অরবিন্দনগর, রবীন্দ্রনগরে। ভিড় সামলাতে এ বার পুজো কমিটিগুলিকে বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “একা পুলিশের পক্ষে ভিড় সামলানো সম্ভব হয় না। পুজোর কমিটির স্বেচ্ছাসেবকেরা সহযোগিতা করেন। যানজট এড়াতে পদক্ষেপ করেন। বেশি স্বেচ্ছাসেবক থাকলে সকলেরই সুবিধা।” পুজোর সময় আবার দুই শহরের কয়েকটি এলাকায় ‘সমাজবিরোধী’ কাজকর্মও চলে। মাদক কেনাবেচা বেড়ে যায়। এই সব এলাকায় বাড়তি নজরদারির বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে খবর। পাশাপাশি, অবৈধ শব্দবাজির বিক্রি ও ব্যবহার রুখতেও অভিযান শুরু হচ্ছে। অবৈধ শব্দবাজি বিক্রি হয়, এমন এলাকায় অতর্কিতে হানা দেবে পুলিশ। পুলিশ সুপারের বক্তব্য, “উদ্যোক্তাদের কাছে কিছু আবেদন রাখা হয়েছে। পুজোর সময় অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।” |
|
|
|
|
|