|
|
|
|
উঁচু মণ্ডপের জাঁক হয়তো এ বারই শেষ |
স্বপন সরকার • পটনা |
পটনার পুজোয় ‘খলনায়ক’ হতে চলেছে একটি নির্মীয়মাণ উড়ালপুল। এই উড়ালপুলটি রাজধানী পটনার পুজোর আনন্দকে আগামী বছর থেকে অনেকটাই মাটি করে দিতে পারে বলে মনে করছেন বেইলি রোডের পুজো উদ্যোক্তরা। সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শেখপুরা মোড় এবং জগদেও পথও।
নিত্যদিনের যানজট কমাতে তৈরি হচ্ছে উড়ালপুলটি। শেখপুরা মোড় থেকে জগদেও পথ এলাকা জুড়ে অন্তত ১২টি বড় পুজোর উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এই উড়ালপুলের জন্য আগামী বছর থেকে বড় মাপের মণ্ডপ তৈরিতে বাধা পড়বে। তাদের ধারণা, উঁচু মণ্ডপ তৈরির এটাই হয়তো শেষ বছর। উড়ালপুল তৈরি হলে এই মণ্ডপগুলির উচ্চতা বাড়ানো যাবে না। মন খারাপ পুজো উদ্যোক্তাদের।
২৫ মিটার চওড়া এই উড়ালপুলের পাশেই খাজপুরা শিব মন্দির পুজো সমিতি। সমিতির সম্পাদক শ্রবণ কুমারের আক্ষেপ, “এ বারেই হয়তো শেষ বারের মতো উঁচু মণ্ডপ তৈরি করতে পারছি। গত বছর ৮৫ ফুট উঁচু মণ্ডপ তৈরি হয়েছিল। আক্ষেপ মেটাতে এবার তৈরি করা হচ্ছে ৯৫ ফুট উঁচু মণ্ডপ।”
বেইলি রোডের মুন ক্লাবের পুজো সমিতির সভাপতি প্রকাশ সিংহ বলেন, “আমাদের মণ্ডপের পিছনেই উড়ালপুলের পিলার বসবে। সেই পিলারের জন্য যে জায়গা চলে যাবে তাতে আগামী বছর উঁচু মণ্ডপের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গাই পাওয়া যাবে না। সেই কারণে এ বারে আমরা ৯০ ফুট উচ্চতার মণ্ডপ তৈরি করছি। এ ছাড়াও উড়ালপুলের জন্য আমাদের মণ্ডপের সামনের দিক ঢেকে যাবে।” একই ভাবে আশঙ্কায় দিন গুনছেন রাজাবাজার দুর্গা পুজো সমিতি। সমিতির সম্পাদক মহম্মদ আরসাদ জামালের কথায়, “প্রতি বছর এখানে হাজার হাজার মানুষ আসেন। মণ্ডপের উচ্চতা ৮০ ফুট। গাড়ি বন্ধ হয়ে যায় পুজোর চারদিন। আগামী বছর কী হবে তা আমরা বুঝতে পারছি না।” |
|
|
|
|
|