|
|
|
|
এনএসজি হাব নিয়ে চিদম্বরমের পাশে শিন্দে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রাক্তনের পাশে দাঁড়ালেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। খারিজ করে দিলেন প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার যুক্তি।
বিতর্কটা এসে দাঁড়িয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বনাম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। মুম্বই হামলার পরে মুম্বই, হায়দরাবাদ, কলকাতা ও চেন্নাইতে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)-র হাব তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। গত সপ্তাহে এনএসজির এক অনুষ্ঠানে এসে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এম কে নারায়ণন। বলেন, “সেকেলে চিন্তাভাবনা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যা একেবারে ভুল।’’
আজ আবার এনএসজির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়ে নারায়ণনের বক্তব্য খারিজ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দে। তাঁর যুক্তি, কোথাও ফের জঙ্গি হামলা হলেই বোঝা যাবে এনএসজি হাব তৈরির প্রয়োজন রয়েছে কি না। তাঁর ব্যাখ্যা, মুম্বই হামলার সময়ে এনএসজি বাহিনী দিল্লি থেকে পাঠাতেই ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল। কিন্তু এখন কোনও ভারতের যে কোনও শহরে হামলা হলে আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে এনএসজি পাঠানো যাবে। প্রসঙ্গত, মুম্বই হামলার পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্বে আসেন পি চিদম্বরম। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যার মধ্যে অন্যতম চার শহরে এনএসজি হাব। তখন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে ছিলেন নারায়ণন। তাঁর অমতেই যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা গত সপ্তাহেই স্পষ্ট করে দেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। নারায়ণন যুক্তি দিয়েছিলেন, মুম্বইয়ের হামলার ক্ষেত্রে এনএসজিকে কখন ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তির ফলে দেরি হয়েছিল। তাঁর মতে, এনএসজি একটি বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী। মুম্বইয়ের মতো হামলার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদীদের একেবারে নিকেশ করার জন্য এনএসজি পাঠানোর কথা। কিন্তু কখন, কোথায় এনএসজিকে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। |
|
|
|
|
|