|
|
|
|
জখম ৭ |
ফলকনুমা প্যাসেঞ্জারে আগুন, মৃত শিশু-মহিলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অন্ধ্রপ্রদেশের পরে এ বার কর্নাটক। হাম্পি এক্সপ্রেস ও তামিলনাড়ু এক্সপ্রেসের পরে চলতি বছরে ট্রেনে আগুনের তৃতীয় ঘটনা ঘটল ফলকনুমা প্যাসেঞ্জারে।
মঙ্গলবার দুপুরে মধ্য রেলের হায়দরাবাদ-শোলাপুর রুটে গুলবর্গা স্টেশনের কাছে ফলকনুমা প্যাসেঞ্জারের দু’টি কামরায় আগুন লেগে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধ অন্য সাত জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। দুপুরের বদলে রাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত বলে রেল সূত্রেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গুলবর্গা স্টেশনের কাছে ওই ট্রেনের একটি কামরায় আগুন দেখতে পেয়ে যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন। ইতিমধ্যে অন্য একটি কামরাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। |
|
গুলবর্গা স্টেশনের কাছে ফলকনুমা প্যাসেঞ্জারের কামরায় আগুন জ্বলছে। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই |
ট্রেনটি তত ক্ষণে প্ল্যাটফর্মে ঢুকে গিয়েছে। অনেক যাত্রীই প্রাণ বাঁচাতে ট্রেন থেকে লাফ দেন। কয়েক জন আগুন ধরে যাওয়া কামরায় আটকে পড়েছিলেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। মারা গিয়েছেন এক মহিলা এবং একটি শিশু। রাত পর্যন্ত তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি। দু’টি দেহই এমন ভাবে পুড়ে গিয়েছে যে, চেনা মুশকিল।
ঠিক কী ভাবে আগুন লাগল, রাত পর্যন্ত রেল-কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট ভাবে তা জানাতে পারেননি। রেল বোর্ডের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর (তথ্য) চন্দ্রলেখা মুখোপাধ্যায় বলেন, “তদন্ত চলছে। তার পরেই বোঝা যাবে, ঠিক কী ঘটেছিল।” রেল সূত্রের খবর, ওই দু’টি কামরার যাত্রীদের একটা বড় অংশ মহারাষ্ট্রের তুলজাপুরে ভবানী উৎসবে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পুলিশ ও দমকলকর্মীদের ধারণা, ওই যাত্রীদের মধ্যে কেউ কোনও দাহ্য পদার্থ নিয়ে যাচ্ছিলেন। তা থেকেই আগুন ধরে যায়। গত ৩০ জুলাই গভীর রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরের কাছে দিল্লি থেকে চেন্নাইগামী তামিলনাড়ু এক্সপ্রেসের একটি কামরায় আগুন ধরে যায়। মৃত্যু হয় ৩২ যাত্রীর। তার মাস তিনেক আগে অন্ধ্রেরই পেনাকুন্ডায় হাম্পি এক্সপ্রেসের দু’টি কামরায় আগুন লেগে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। সেই দু’টি ট্রেনেই অবৈধ ভাবে দাহ্য পদার্থ বহনের অভিযোগ ওঠে। পরে রেলের তদন্তে দেখা যায়, আগুন ছড়িয়েছিল সেই দাহ্য পদার্থ থেকেই। |
|
|
|
|
|