|
|
|
|
বঢরার জমি নিয়ে মুখ খুলেই বদলি, অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নতুন মোড় নিল রবার্ট বঢরা ও ডিএলএফের জমি নিয়ে বিতর্ক। হরিয়ানায় সনিয়া গাঁধীর জামাই রবার্টের সঙ্গে ডিএলএফের জমি সংক্রান্ত লেনদেন ও তাঁর অন্যান্য সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এক আইএএস অফিসারকে বদলি করার অভিযোগ উঠেছে ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা সরকারের বিরুদ্ধে। প্রত্যাশিত ভাবেই এই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন সমাজকর্মী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও বিরোধী নেতারা। নতুন করে অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস।
|
অশোক খেমকা |
রাজ্যে জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে আগেও সরব হয়েছেন হরিয়ানা সরকারের কনসলিডেশন অফ হোল্ডিং দফতরের অধিকর্তা অশোক খেমকা। অশোকের দাবি, তারই ‘শাস্তি’ হিসেবে তাঁকে ২০ বছরে ৪৩ বার বদলি করা হয়েছে। সম্প্রতি রবার্ট বঢরার লেনদেন নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজ্য সরকারের কাছে দেওয়া রিপোর্টে অশোকের জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রকাশিত আশঙ্কাও প্রায় একই।
মানেসরের কাছে শিকোপুরে যে ৩.৫৩১ একর জমি রবার্টের সংস্থা ডিএলএফকে ৫৮ কোটি টাকায় বিক্রি করেছিল। অশোক জানান, তথ্য যাচাই করে জানা গিয়েছে রবার্ট বঢরা ও তাঁর সংস্থা জমি হস্তান্তরের সময়ে প্রকৃত মূল্য কম দেখিয়েছিলেন। ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। অশোকের আরও বক্তব্য, যে অফিসার ডিএলএফের পক্ষে জমির মিউটেশন করেছেন তাঁর সেই আইনি অধিকার নেই। বদলির নির্দেশ পাওয়ার পরেও ওই মিউটেশন বাতিল করে দিয়েছেন অশোক। গুঁড়গাও, ফরিদাবাদ, পালওল, মেওয়াটে রবার্ট বঢরার অন্যান্য সম্পত্তিরও নতুন ভাবে মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন অশোক। অনেক ক্ষেত্রেই সম্পত্তির মূল্য কম দেখানো হয়েছে বলে সন্দেহ তাঁর। প্রমাণ পাওয়া গেলে জেলাশাসকদের দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশও দিয়েছিলেন অশোক।
অশোকের রিপোর্ট রাজ্য সরকারের ঘরে জমা পড়ার পরেই তাঁর বদলিতে স্বাভাবিক ভাবেই নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অশোক অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, জমি-দুর্নীতি ফাঁস করাতেই তাঁকে হরিয়ানা বীজ উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই পদে তাঁর আগে যে অফিসার ছিলেন তিনি অশোকের ১২ বছর পরে চাকরিতে যোগ দেন।
শুধু তাই নয়, অশোককে ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বন্ধু ও আইনজীবী অনুপম গুপ্ত। প্রয়োজনে অশোক আদালতে গিয়ে নিরাপত্তা চাইবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন অনুপম।
রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে যে সব জমি সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসরে নেমেছিলেন সেগুলির মধ্যে রয়েছে শিকোপুরের ওই জমিটিও। আজ কেজরিওয়াল বলেছেন, “বঢরার বিরুদ্ধে তদন্ত করলেই হরিয়ানায় আইএএস অফিসারদের বদলি করা হয় কি না তা দেশবাসীর জানতে চাওয়া উচিত।” বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকরের কথায়, “গাঁধী পরিবারের জামাইকে বাঁচাতে কেন্দ্র আসরে নেমেছিল। কিন্তু অশোকের রিপোর্ট থেকেই বোঝা যাচ্ছে দুর্নীতির শিকড় কত গভীর।” হরিয়ানা সরকার জানিয়েছে, অশোকের বদলির সঙ্গে অন্য কোনও বিষয়ের যোগ নেই। তাঁর তোলা অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|