অসুখের লক্ষণ স্পষ্ট। ওষুধও জানা। তবু রোগ সারে না। কারণ সঠিক দাওয়াই দিতে অনীহা।
শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের মতো রাস্তাঘাট চওড়া করার ক্ষেত্রেও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় তা পরিষ্কার।
সরকারে এসেই তিনি ঘোষণা করেছেন, রাজ্যে শিল্পায়নের প্রয়োজন থাকলেও সরকার জমি জোগাড় করে দেবে না। এ বার শহরের রাস্তা চওড়া করার প্রয়োজনীয়তা মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এটা করতে গেলে দোকান ভাঙা পড়তে পারে। তাতে গোলমাল হওয়ার ঝুঁকি আছে। |
দেশের অন্য যে কোনও মহানগরের তুলনায় কলকাতায় গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত বড় রাস্তার পরিমাণ কম। দিল্লি, মুম্বইয়ে যা ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ, এই শহরে তা ৭ শতাংশের বেশি নয়। তার উপর রয়েছে ফুটপাথ দখল করে দোকানের সারি, হকারের স্টল, কোথাও বা অন্য কোনও নির্মাণ। পথচারীদের তাই বহু ক্ষেত্রেই নেমে আসতে হয় গাড়ির রাস্তায়। শ্লথ হয়ে পড়ে যানের গতি। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। অথচ সুরাহার নির্দিষ্ট দিশা তিনি দেননি।
মঙ্গলবার টাউন হলে কলকাতা পুলিশের পুজো গাইড প্রকাশের অনুষ্ঠানে এই সমস্যার কথা তুলে মমতা বললেন, “গাড়ি বাড়ছে, লোক বাড়ছে, পুজো বাড়ছে। কিন্তু রাস্তা কমছে। রাস্তা চওড়া করতে গেলে দোকান ভাঙা হতে পারে। তখন আবার হইচই হতে পারে। তাই এটুকুর মধ্যেই যতটুকু করা যায়।” হইচই কেন হবে, তারও কারণ ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “এখন এক ইঞ্চি জমিও কেউ নিতে পারবে না।” তা হলে সমস্যার সমাধান কোন পথে? তিনি শুধু জানিয়ে দেন, “সুশাসন এবং মানুষের সচেতনতাকে মিলিয়ে কাজ করতে হবে।” |