আপাতত স্থিতিশীল মালালা ইউসুফজাই। তবে ব্রিটেনের হাসপাতালে পৌঁছেও স্বস্তিতে নেই পাকিস্তানের লড়াকু কিশোরী। এখানেও দু’জন মালালার ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ সেজে তাকে দেখতে হাজির হয়েছিল। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ তাদের আটকায়। হাসপাতালে তাদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি।
বার্মিংহামে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা আজ জানিয়েছেন, মালালার ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। গত কালই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে পাকিস্তান থেকে চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে। ব্রুকলিন হসপিটাল সেন্টার নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অ্যান্ডার্স কোহেন বলেছেন, মালালা দু’টি বড় বাধা পার করে ফেলেছে। মাথা থেকে গুলি বার করার পরে সে চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছে। তাঁর মতে, ওর বয়সটাই ওকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। গুলির আঘাতে কমবয়সীদের মস্তিষ্কে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কম ক্ষতি হয়।
তালিবান জঙ্গিরা গত সপ্তাহে মালালার উপরে হামলার পরেই জানিয়েছিল, মেয়েটি যদি বেঁচে যায়, তা হলে ফের তাকে হত্যার চেষ্টা করা হবে। ব্রিটেনে তাই মালালার সুরক্ষা ব্যবস্থার দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। মালালাকে ভর্তি করার পরের দিনই হঠাৎ দু’জন হাজির হওয়ায় সন্দেহ হয় পুলিশের। তাই হাসপাতালের বাইরেই তাদের আটকে দেওয়া হয়।
মালালার উপর হামলার দায় নিয়েছিল তালিবান মুখপাত্র ইশানুল্লা ইশান। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক আজ তার মাথার দাম ১০ কোটি টাকা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, “মালালাকে হত্যার ছক কষা হয়েছিল আফগানিস্তান সীমান্তে। তবে সেই সময় আমরা বুঝতে পারিনি ওরা মালালাকে মেরে ফেলার কথা ভাবছে।”
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি আজ বলেছেন, “মালালার উপর তালিবান আক্রমণ দেশের সব মেয়ে এবং সাধারণ মানুষের উপরে হামলার সমান।”
মালালার সুস্থতা কামনা করে তিনি জানান এর পর থেকে সোয়াটের সাহসী কিশোরী যাতে সব রকম সরকারি সাহায্য পায়, সে দিকে নজর দেওয়া হবে। |