|
|
|
|
নন্দীগ্রামে ধৃত ৩ |
বধূকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
অন্যের খেতে গরু ঢুকে পড়েছিল। সেই ‘অপরাধে’ এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামের চরকেন্দেমারি গ্রামে। সোমবার ভোরে গুরুতর জখম অবস্থায় অচৈতন্য ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম থানায় নিয়ে যান তাঁর পড়শি-আত্মীয়েরা। সেখান থেকে তাঁকে নন্দীগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক মহিলা-সহ তিন জনকে আটক করেছিল সকালেই। পরে রাতে আট জনের নামে নির্দিষ্ট করে অভিযোগ দায়ের হলে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, ‘‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদের জেরে এক মহিলাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।”
নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কেন্দেমারি জালপাই পঞ্চায়েতের চরকেন্দেমারি গ্রামের বছর পঁয়ত্রিশের ওই বধূর স্বামী কর্মসূত্রে ওড়িশায় থাকেন। দম্পতির এক মেয়ে, এক ছেলে। মেয়ে নন্দীগ্রামের একটি স্কুলের হস্টেলে থাকে। দশম শ্রেণিতে পড়ে সে। ১১ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন ওই বধূ।
রবিবার সকালে তাঁদের একটি গরু প্রতিবেশীর জমিতে গিয়ে ফসল নষ্ট করে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে বচসা বাধে। বিকেলে প্রতিবেশীরা শাসিয়ে গেলে ওই বধূ তাঁর ছেলেকে গ্রামেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসেন। রাতে ওই মহিলা বাড়িতে একা ছিলেন। অভিযোগ, সোমবার ভোরে নাগাদ একদল লোক বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ওই বধূকে মারধর করেন। বধূর অভিযোগ, “আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। প্রতিবেশী ১০-১২ জন বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকো আমাকে বিবস্ত্র করে মারধর করে।” ওই মহিলার আত্মীয় তপন জানা বলেন, “গ্রামের লোকজনের কাছে খবর পেয়ে আমি গিয়ে দেখি বাড়ির কাছে এক জায়গায় প্রায় বিবস্ত্র ও অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শরীরে গভীর ক্ষতচিহ্ন। এরপর ওকে নিয়ে নন্দীগ্রাম থানায় যাই।” অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গ্রামে তদন্তে যায়। গ্রাম থেকেই এক মহিলা-সহ তিন জনকে আটক করে নিয়ে যায় তারা। রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। |
|
|
|
|
|