আজ হয়তো দেখা যাবে বোলার যুবরাজকে |
পারবেন আগের দিনের ধকল কাটিয়ে পরের দিন আবার সেরকমই বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে? যুবরাজ সিংহকে নিয়ে এমন প্রশ্ন ছিল অনেকেরই মনে। এ বার সেই প্রশ্নেরও জবাব দিয়ে দিলেন তিনি। আগের দিন সেঞ্চুরি, পরের দিন ডাবল। দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালে ২০৮ রানের ইনিংসের পর যুবরাজের পাঁচ দিনের ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে আর বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। সোমবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি নির্বাচকদের কাজটা হয়তো অনেকটাই সহজ করে দিল। |
দু’শোর দৌড়। সোমবার হায়দরাবাদে। ছবি: পিটিআই |
মিডল অর্ডার ও টেল এন্ডারদের সাহায্য সে ভাবে পেলেন না বটে, তবু উত্তরাঞ্চলকে রানের পাহাড়ে চাপিয়ে দিলেন যুবরাজ। ২০৮ রানের ইনিংসের মধ্যে ১৫০ রানই এল বাউন্ডারির বাইরে থেকে। ৩৩টি চার ও তিনটি ছয়। প্রবীণ কুমার, মুরলী কার্তিকরা অনেক চেষ্টা করেও আগের দিন যুবিকে ফেরাতে পারেননি। এ দিন শেষ পর্যন্ত সফল হলেন কার্তিক। নিজের বলেই যুবির ক্যাচ ধরে তাঁকে ফিরিয়ে। উত্তরাঞ্চল থামল ৪৫১ রানে। প্রভীন ও মুরলী চারটি করে উইকেট নেন। পাল্টা ব্যাট করে মধ্যাঞ্চল ১৪৬-৫। প্রথম দু’দিন ছিল ব্যাটসম্যান যুবরাজের দাপট। পরের দু’দিন হয়তো দেখা যাবে বোলার যুবরাজকে।
|
কথা ও কাহিনি |
• কাউকে কিছু প্রমাণ করার চেষ্টা করিনি। আমার লক্ষ্য ছিল মাঠে নেমে নিজেকে উপভোগ করা। মজা করতে চেয়েছিলাম।
• এখনই ভবিষ্যতের কথা খুব বেশি ভাবতে চাই না। প্রত্যেকটা ম্যাচ আলাদা আলাদা ভাবে দেখাটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।
• যে রকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম, তার পর এতক্ষণ ব্যাট করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। ডাবল সেঞ্চুরিটা স্পেশ্যাল এই জন্যই যে, ক্রিজে এত সময় কাটাতে পারলাম।
• প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের থেকে টি-টোয়েন্টি একেবারে আলাদা। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে প্ল্যান করার সময় থাকে না। কিন্তু এখানে ইনিংস নিয়ে ভাবনাচিন্তার অনেক সময় পেয়েছিলাম। সেটা খুব সাহায্যও করেছে।
দিনের শেষে যুবরাজ
|
|
|