মেদিনীপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কার্যালয় তৈরি ও তার উদ্বোধন নিয়ে দলের মধ্যেই বিতর্ক দেখা দিল। দলীয় অফিসটি তৈরি করেছেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর দেবী চক্রবর্তীর স্বামী নন্দদুলাল চক্রবর্তী। একপক্ষ বলছেন, এটি দলীয় কার্যালয়। অন্য গোষ্ঠী তা মানতে নারাজ। বিতর্ক এড়াতে সোমবার পার্টি অফিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলের জেলা নেতৃত্বের বেশিরভাগই উপস্থিত ছিলেন না। কেন এই বিতর্ক? নন্দদুলালবাবুর কথায়, “মৃত্যুর আগেই দেবী ওই জায়গায় পার্টি অফিস করতে উদ্যোগী হয়েছিল। তারই স্মৃতি রক্ষারয় ওখানে দলীয় কাার্যলয় করা হল। সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কেউ এসেছেন, আবার অনেকেই আসেননি। কেন আসেননি কী করে বলব।” দলের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি অসীম ধর বলেন, “ওই ওয়ার্ডে দলের কোনও পার্টি অফিস হয়েছে বলে আমার জানা নেই। কেউ খুশিমতো পার্টি অফিস করতে পারে না। দলের অনুমতি লাগে। এক্ষেত্রে অনুমতি দূর, কোনও আলোচনাই হয়নি।” আর আমন্ত্রিত থেকেও অনুষ্ঠানে গরহাজির মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রণব বসুর বক্তব্য, “আমার অন্য কাজ থাকায় যেতে পারিনি। তবে ওখানে পার্টি অফিস হয়েছে কী হয়নি, তা ওয়ার্ড কমিটি বা দলের শহর কমিটিই বলতে পারবেন।” |
এই পার্টি অফিস নিয়েই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র। |
কিছু দিন আগে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবী চক্রবর্তী। তাঁর মৃত্যুর পর ২ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গামন্দিরের কাছে একটি দলীয় কার্যালয় করার উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়। তৈরি করা হয় একটি দোতলা বাড়ি। যেটি দেবী চক্রবর্তী ট্রাস্টি কমিটির অফিস হবে বলেও প্রথমে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ গতকালই সেখানে বড় বড় অক্ষরে লেখা হয় যে, ওই বাড়িটি তৃণমূলের ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির প্রধান কার্যালয়। এমনকি দলীয় অফিস উদ্বোধনের কার্ডে বিভিন্ন নেতার নাম থাকলেও ওয়ার্ড কমিটির সভাপতির নাম ছিল না। তখনই বিতর্ক জোরদার হয়। সোমবার স্থানীয় কিছু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পার্টি অফিসের উদ্বোধন হলেও বিধায়ক মৃগেন মাইতি, পুরপ্রধান কিন্তু অনুষ্ঠানটি এড়িয়ে গিয়েছেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন না দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বা জেলার কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষও। |