পাঁচ মাসের বেতন পাননি। এ বার পুজোর মুখে ন্যূনতম দৈনিক মজুরির দাবিতে আন্দোলনে নামলেন ব্যান্ডেল রেলইর্য়াডের ঠিকাকর্মীরা। ব্যান্ডেল রেলইয়ার্ডে ২৫-২৮ জন ঠিকাশ্রমিক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন। তাঁরা দৈনিক ৮৫ টাকা মজুরিতে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছেন। গত পাঁচ মাস সেই বেতনটুকুও জোটেনি। মাস পাঁচেক আগে নতুন ঠিকাদার দায়িত্ব নেওয়ার পরে সমস্যার সুরাহা হবে বলে আশা করেছিলেন শ্রমিকেরা। তাঁদের দাবি ছিল, শ্রমআইনে নির্ধারিত ন্যূনতম দৈনিক মজুরি দিতে হবে। বকেয়া বেতন মেটাতে হবে। কিন্তু শ্রমিকদের অভিযোগ, বার বার আবেদন-নিবেদনের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। নতুন ঠিকাদার আসার আগেই ন্যূনতম মজুরির দাবি লিখিত ভাবে রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন শ্রমিকেরা। কিন্তু মজুরি বাড়েনি। বকেয়াও মেটানো হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে কাজ চালু রেখেই রেলইয়ার্ডের সামনে বিক্ষোভ দেখান ঠিকাশ্রমিকেরা। রেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। হাজির ছিলেন ঠিকাদারও। যদিও এ দিনের বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অভিজিৎ ভট্টাচার্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী অবশ্য বলেন, “পুজো এসে গেল। শ্রমিকদের বেতন না পাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখের। রেলের তরফে ওই ঠিকাদারের সঙ্গে বসে বেতনের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালানো হবে।” এক ঠিকাকর্মীর কথায়, “বাড়িতে মা-বৌ, দু’টো বাচ্চা। এই টাকায় কী ভাবে সংসার চালাই বলুন তো!”
ঠিকাশ্রমিকদের সংগঠনটি তৃণমূল অনুমোদিত। সংগঠনের জেলা সভাপতি বিদ্যুৎ রাউত বলেন, “আমরা আন্দোলনরত শ্রমিকদের পাশে আছি। ওই ঠিকাদার সমস্ত শ্রমআইন ভেঙে একতরফা ভাবে কাজ করছেন। এটা হতে পারে না। সভ্য সমাজে এই বাজারে দিনে ৮৫ টাকা মজুরি কোথাও আছে?” তাঁর আরও অভিযোগ, এই অনিয়মের সঙ্গে ব্যান্ডেলে রেলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের একাংশও জড়িত। রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ মানেননি। |