চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে একই নম্বর থেকে এক বার এসএমএস আর দু’বার হুমকি-ফোন এল শপিং মলে। অথচ দুষ্কৃতীকে ধরা তো দূর, সেই ফোন নম্বরটির বিষয়ে কোনও তথ্যই জোগাড় করে উঠতে পারল না হাওড়ার পুলিশ। উল্টে দুষ্কৃতীদের হুমকি-ফোন পেয়ে রবি ও সোমবার দু’দিন শুধু ‘ব্যর্থ’ দৌড়ঝাঁপেই সন্তুষ্ট থাকল তারা।
রবিবারই হাওড়ার শিবপুরের জগৎ ব্যানার্জি ঘাট রোডের একটি শপিং মলে এক নিরাপত্তারক্ষীর মোবাইলে ইংরেজি হরফে হিন্দিতে একটি মেসেজ পাঠায় দুষ্কৃতীরা। জানানো হয়, বোমা রাখা আছে, দশ লক্ষ টাকা না দিলে শপিং মল উড়িয়ে দেওয়া হবে। একই কথা বলে ফোনও করা হয়। শেষ পর্যন্ত দুষ্কৃতী কিংবা বোমা কিছুরই দেখা মেলেনি।
ঘটনার রেশ না কাটতেই ফের সোমবার সেই নম্বর থেকে ওই নিরাপত্তাকর্মীকেই ফোন করে টাকা চাওয়া হয়। অথচ রাত পর্যন্ত সেই ফোন কে বা কারা করছে, তার হদিস মেলেনি। বরং পুলিশের দাবি, ফোন নম্বরটির তথ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছেই নেই বলে জানা গিয়েছে। দুষ্কৃতীরা ফোনটি বন্ধ করে রাখছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। তবে ফোনটি হাওড়া থেকে করা হচ্ছে বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।
হাওড়া কমিশনারেটের ডি সি (সদর) নিশাত পারভেজের ব্যাখ্যা, “সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছে ওই ফোন নম্বর সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত ওই নম্বরের কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই বলেই জানিয়েছে সংস্থা। সিমটি দু’দিন আগেই চালু হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।”
পুলিশের ধারণা, ওই সিম যে দোকান থেকে কেনা হয়, তাদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গভীর যোগাযোগ রয়েছে। যে কারণে তথ্য ছাড়াই সিমটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা একেবারেই বেআইনি। অনেক অপরাধের তদন্তে এমন ঘটনার সন্ধান মেলে বলেই দাবি হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দাদের।
ঘটনা যা-ই হোক, পরপর দু’দিন এই কাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই শপিং মলে। রবিবার হুমকি-ফোন ও মেসেজ পেয়ে ক্রেতাদের তিন ঘণ্টা মলের বাইরে দাঁড় করিয়ে বোমা খোঁজে পুলিশ। সোমবার আর পুলিশ মল ফাঁকা করেনি। তবে সাদা পোশাকে নজরদারি চালাচ্ছে।
রবিবার ফোনে দুষ্কৃতীরা জানায়, জি টি রোডের কাছে এক আবাসনের কাছে তারা টাকা নিতে আসবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পায়নি পুলিশ। এ দিন মল কর্তৃপক্ষ জানান, রবিবার ফোন এসেছিল বিকাল চারটে নাগাদ। বলা হয়েছিল, ৪টে ৩৩ মিনিটে বোমা ফাটবে। এ দিনও বিকেল চারটে নাগাদই ফোন করে টাকা চায় দুষ্কৃতীরা। |