বেকার যুবক-যুবতী, কর্মচ্যুত এবং আয় বাড়াতে ইচ্ছুক আওয়ামের জন্য স্বপ্নের সুযোগ। নির্ঝঞ্ঝাট ব্যবসা। লাভ বই লোকসান নেই! সামান্য বুদ্ধি খরচ করুন, মশারি-র মেটিরিয়াল দিয়ে বানিয়ে ফেলুন হরেক ডিজাইনের জামাকাপড় ছিদ্রও থাকবে, কিন্তু নিশ্ছিদ্রও হবে। এমন যে, মশার চৌদ্দো নারীও মনুষ্যদেহে নল ঢোকাতে পারবে না। এ প্রডাক্ট পেলে লোকে লাইন লাগিয়ে কিনবে: ডেঙ্গির ভয়ে সবাই কোণঠাসা। সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে লোকে জেনে গেছে মশার কামড়ই ডেঙ্গির মূলে যেমন ম্যালেরিয়া। স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, নিজেরটা নিজে বুঝে নাও মশার কামড় থেকে বাঁচার ব্যবস্থা করো। ডেঙ্গি হলে কী করতে হবে সেটাও বলে দেওয়া হয়েছে।
জোরে কথা বলা বারণ, তাই দু-এক জন মিন-মিন করে বলার চেষ্টা করছে, ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া-র মতো অসুখ কোনও সভ্য দেশে হয় কী করে? বিজ্ঞাপন দিয়ে উপদেশ বর্ষণের চেয়ে মশা মারাটা তো অনেক সহজ আর যদি কঠিন হয়ও, সেটা তো করারই কথা। এটা তো আসল স্বাস্থ্য-সমস্যা নয়, অতি সাধারণ পুর কর্তব্য। কিন্তু বোকারা বেঝে না যে, সরকার অহিংস, তদুপরি পরিবেশবান্ধব; অতএব মশা মারার কাজ সরকার করবে না। বরং মশারাও যাতে বংশবৃদ্ধির মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে ব্যবস্থা করে দেবে।
কারণটা সহজ। এটা গণতন্ত্র যেখানে সংখ্যার জোর, মশারা সংখ্যায় বেশি। আর আমাদের জনসংখ্যা যদিও কিছু কম নয়, কিন্তু সরকারের চোখে সেটা তো কেবল লোক-বাহুল্য। সুতরাং, আপামরকে নিজের ব্যবস্থা নিজে করতে হবে। এবং মশারি-কাপড়ে নিজেকে ঢেকে নেওয়ার চেয়ে ভাল সুরক্ষা কী-ই বা হতে পারে? ব্যবসার জন্য পুঁজি কোত্থেকে আসবে? এখনই সরকারের কাছে প্রপোজাল জমা দিন, পি পি পি মডেলে এটাকে লুফে নেবে। অতএব, হে বঙ্গসন্তানরা, উদ্যোগী হও আগে যাও, আগে খাও। |