তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজি
তৃণমূলের স্থানীয় দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজিতে অশান্ত হল কেতুগ্রামের বামুনডিহি ও খলিপুর গ্রাম। সোমবার বিকেলের এই ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বামুনডিহি গ্রামে তৃণমূল নেতা সাউদ মিঞা ও খলিপুরের তৃণমূল নেতা আপেল শেখের অনুগামীদের মধ্যে এই গণ্ডগোল বাধে। সাউদ ও আপেল, দু’জনের নামেই কেতুগ্রাম থানায় খুন, তোলাবাজি, পুলিশের উপরে হামলা-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে তাঁরা জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা যায়, এক সময়ে আপেল সাউদেরই সঙ্গী ছিলেন। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে সাউদ গ্রেফতার হন। তার পরেই দু’জনের মধ্যে ‘দূরত্ব’ বাড়ে। কয়েক দিন আগে দু’জন তৃণমূল কর্মী ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হন আপেল। এর পর থেকে সাউদের সঙ্গে তাঁর তিক্ততা আরও বাড়ে। দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য দূর করার জন্য তৃণমূলের কেতুগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল বৈঠকও করেন বলে দলের একটি সূত্রের খবর। কিন্তু সোমবারই ফের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন ওই দুই নেতার অনুগামীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার দখল নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। সাউদের অনুগামীদের অভিযোগ, বামুনডিহি গ্রামের দু’জন যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের বাড়ির লোকজন কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগও করেছেন। পুলিশ আপেল শেখ-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল। সেই আক্রোশেই এ দিন আপেলের লোকজন বামুনডিহি গ্রামে চড়াও হয়। গ্রামের সাধারণ মানুষজনই তার প্রতিরোধ করেন। সাউদ-গোষ্ঠীর আরও অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। আপেলের অনুগামীদের পাল্টা অভিযোগ, সাউদের লোকজনের দৌরাত্ম্যে তাঁদের পক্ষের দু’জন বামুনডিহি গ্রামে থাকতে পারছেন না। এ দিন তাঁদেরই এক জনের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় সাউদ-গোষ্ঠীর লোকজন। প্রতিবাদ করলে তারা বোমাবাজি করে।
কেতুগ্রামের আইসি আব্দুল গফ্ফর জানান, ঘটনাস্থল থেকে আপেলকে আটক করা হয়েছে। আইসি-র দাবি, অশান্তির খবর গ্রামে গিয়ে পুলিশ টহল দেওয়ার সময়ে দূরে মাঠ থেকে সাউদের অনুগামীরা বোমাবাজি করে। কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজ অবশ্য এই ঘটনাকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মানতে নারাজ। গ্রামীণ বিবাদের জেরে এমন ঘটেছে বলে তাঁর দাবি। সিপিএমের ভাগীরথী-অজয় জোনাল কমিটির সদস্য ফারুক মির্জার আবার দাবি, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের মধ্যে গোলমাল হয়েছে। পুলিশ এক পক্ষকে সমর্থন করায় সমস্যা বাড়ছে।” পুলিশ অবশ্য কোনও পক্ষকে সমর্থন বা নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে চায়নি।

ছাত্রী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
ছাত্রীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে খুনের মামলায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল রেল পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে বর্ধমানের ধাত্রীগ্রাম স্টেশনের কাছ থেকে সত্যজিৎ বসাক নামে ওই যুবককে ধরা হয়। গত শনিবার নবদ্বীপে টিউশন থেকে ফেরার পথে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় পূর্বস্থলীর নসরতপুরের বাসিন্দা সুজয়া বসাকের। একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, প্রেম-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পড়শি যুবক সত্যজিৎ সুজয়াকে চলন্ত ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় সত্যজিৎ ছাড়াও তার দাদা, কাকা, বাবা এবং জ্যাঠার বিরুদ্ধে খুন ও খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ আগেই সত্যজিতের দাদা শ্যামলকে গ্রেফতার করেছিল। সোমবার সত্যজিৎকে কালনা আদালতে তোলা হলে তিন দিন রেল পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সত্যজিতের পরিবারের অন্য সদস্যেরা পলাতক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.