বিবেকানন্দ রক মন্দির দর্শন এ বার বড়নীলপুরেই
ন্যাকুমারিকার বিবেকানন্দ রক মন্দির ঘুরতে যাওয়ার দরকার নেই দক্ষিণ ভারতে! বড়নীলপুরের ফ্রেন্ডস ক্লাব সর্বজনীন পুজো কমিটির দৌলতে তা পাওয়া যাবে বর্ধমান শহরেই।
চলছে প্রস্তুতি। বড়নীলপুরের ফ্রেন্ডস ক্লাবের পুজো।
মণ্ডপে থাকছে নীল জলধারা। তাতে ভাসছে বোট। বোটে চড়ে দর্শনার্থীদের যেতে হবে মূল মণ্ডপে। সেখানে সিঁড়ি ভেঙে দেবী দর্শন করবেন দর্শনার্থীরা। পাশাপাশি দেখবেন বিবেকানন্দের শিশুকাল থেকে আমৃত্যু নানা ঘটনার ছবি। মাদুর আর খড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই সব ছবি। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির শ্যামচক গ্রামের শিল্পী শক্তিপদ ভুঁইয়া করছেন ছবিগুলি। পুজো কমিটির সম্পাদক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দেড় মাস ধরে শিল্পীরা কন্যাকুমারিকার রক মন্দির তৈরির কাজ করে চলেছেন। সার্ধশতবর্ষে বিবেকানন্দই আমাদের প্রেরণা।”
নতুনত্বের ছোঁয়া পেতে হলে এ বার আসতেই হবে রসুলপুরের উত্তরপাড়ায়। সেখানে এ বার খোলা আকাশের নীচে দেখতে পাওয়া যাবে ফাইবার গ্লাসের ৪২ ফুট উঁচু দেবীর সপরিবার মূর্তি। উদ্যোক্তাদের দাবি, রাজ্য এই প্রথম ফাইবার গ্লাসের ৪২ ফুট উঁচু মূর্তিগুলি দেখতে পাওয়া যাবে। খোলা আকাশের নিচে থাকার কারণ মূর্তিগুলি ফাইবার গ্লাসের তৈরি। ফলে জলে ভিজে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। এমনকী টানা ৫০ বছর ধরে তা থেকে যাবে অবিকৃত। উদ্যোক্তাদের অন্যতম দেবজ্যোতি মিত্রের কথায়, “দরকার হলে আগামী বছর কোনও মণ্ডপ আমাদের এই মূতির্র্ নিয়ে গিয়ে অভিনব দুর্গা দেখাতে পারেন।” মূর্তিগুলি রং করতে করতে শিল্পী অনিন্দ্য রায় দাবি করেন, এই রাজ্যে ফাইবার গ্লাসের মূর্তি প্রথম তৈরি করা হলেও, ছত্তিসগঢ়ের রায়পুর ও বিলাসপুরে এই ধরনের মূর্তি তৈরি করছেন ২০০৭ সাল থেকেই।
রসুলপুরের উত্তরপাড়ায়।
৪৩তম বর্ষে বর্ধমানের টিকরহাটের সর্বজনীন দুর্গোৎসবের আকর্ষণ আদিবাসী শিকারীদের দূর্গ। সেই দূর্গের ভিতরেই দেবীর অবস্থান। বাঁশ, খড়, চাটাই, মাদুর, ঝুড়ি, কুলো,বাঁশের চাঁচ ইত্যাদির সাহায্যে তৈরি করা হচ্ছে নানা আদিবাসী নারী-পুরুষের মডেল। উদ্যোক্তাদের অন্যতম বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, “আদিবাসীদের জীবনধারার নানা চিত্র তুলে ধরতে চাইছি আমরা। কারণ পুরাণ তো বলছে, দেবী প্রথমে ছিলেন আদিবাসীদেরই আরাধ্যা। সেই বনদুর্গার মূর্তিই আমরা দেখাতে চাই শহরবাসীকে।” মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পী অলোক মণ্ডলের কথায়, “পরিশ্রম করে এক একটি মডেল তৈরি করছি। মানুষকে এগুলি কতটা আনন্দ দিতে পারবে, তার উপরেই নির্ভর করে রয়েছে আমার পরিশ্রমের সার্থকতা।”

—নিজস্ব চিত্র।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.