পুরনো চাল ভাতে বাড়ে,
প্রমাণ হয়ে যাবে। |
হৃদয় দিয়ে করে বলেই
প্রতি বছর প্রশংসা পায়। |
প্রণব মুখোপাধ্যায় যদি
এখানে পুরোহিত হতেন! |
ওস্তাদের বয়স ৫৯ (ষাটে পড়লেও না হয় বুড়ো বলা যেত!)
ট্যাঁকের জোর ৯ লাখের রেসের ঘোড়া। পাড়ার দু’এক জন কুবের অবশ্য ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়ে রেখেছেন।
প্লাস পয়েন্ট তল্লাটের সবচেয়ে পুরনো পুজো। ঢাকঢোল পিটিয়ে লোক জোটাতে হয় না। মাঠও অনেক বড়। কয়েক হাজার দর্শনার্থী হাত-পা এবং ছাতা (বৃষ্টি যদি পিছু না ছাড়ে) ছড়িয়ে ঠাকুর দেখতে পারেন।
মাইনাস পয়েন্ট চার দিনের টি-টোয়েন্টি, অথচ ছোকরা প্লেয়ার বেশি নেই। তার উপরে স্পনসর জোটানোর চাপও তো আছে! চারপাশে সবাই এমন ছক্কা হাঁকছে যে বিজ্ঞাপন না জুটলে সেনসেক্স ওঠানোই মুশকিল।
থিম জমি অধিগ্রহণে নারাজ রাজ্য সরকার। ভারী শিল্পের কারবারিদের মাথায় হাত। তা বলে কি শিল্প হবে না? অতএব থিম ‘বাংলার কুটির শিল্প’। একদা কী ধরনের কুটির শিল্প রাজ্যকে দুধেভাতে রেখেছিল, তারই ক্ষুদ্র সংস্করণ মণ্ডপের ছত্রে ছত্রে ছড়ানো।
তুরুপের টেক্কা প্রচুর ঝিনুক, টেরাকোটার নকশা ও তিন লক্ষ কাচের চুড়ি থরে থরে সাজিয়ে গড়া হচ্ছে মণ্ডপ। কেউ ‘কিনে দে রেশমী চুড়ি’ বলে টি-শার্টের হাতা ধরে ঝুলে পড়ে, ঘাবড়ালে চলবে না!
পুজো প্লাস বছরভর ক্লাবের বাড়িতে চলে দাতব্য চিকিৎসালয়, তার কিছুটা পুজোর খরচ বাঁচিয়েই।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রসঙ্গে যত কম বলা যায়, তত ভাল। এ রকম নিজস্বতা আছে? |