হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরেও চারজন দৃষ্টিহীন কর্মপ্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ উঠল কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের বিরুদ্ধে। উত্তরবঙ্গ প্রতিবন্ধী সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে ওই অভিযোগ তোলা হয়েছে। কর্মপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগপত্র দেওয়ার দাবিতে আজ, সোমবার কোচবিহার ও শিলিগুড়িতে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছে সংগ্রাম কমিটি। ৩ ডিসেম্বর বিশ্বপ্রতিবন্ধী দিবসের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে সংগঠন দিল্লিতে অনশনে বসার হুমকি দিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার। তিনি বলেন, “হাইকোর্টের রায় মেনে পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যে চার কর্মপ্রার্থীর বিভিন্ন শংসাপত্র খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। গড়িমসির অভিযোগ ঠিক নয়।” প্রতিবন্ধী সংগ্রাম কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে কোচবিহারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১২ জন দৃষ্টিহীন কর্মপ্রার্থী। কিন্তু নিয়োগ তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর সহ বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখার পরে কামেশ্বর পাল, বীণা রায়, সঞ্জয় মোদক ও বিভাস বর্মন নামে ওই ৪ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেয় আদালত। গত ২৭ জানুয়ারি ওই নির্দেশ জারির পরে এপ্রিল মাসে কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ থেকে স্কুল শিক্ষা দফতর বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করেন কমিটির সদস্যরা। কিন্তু তারপরেও প্রায় ছয় মাস চলে গিয়েছে। কিন্তু একজনকেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। প্রতিবন্ধী সংগ্রাম সমিতির সম্পাদক বিপদতারণ দাস বলেন, “৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখব। কাজ না হলে দিল্লিতে অনশনে বসব।” আন্দোলনের জেরে চাপান উতোর শুরু হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সংসদের বর্তমান ও প্রাক্তন কর্তাদের। কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার বলেন, “বাম আমলে ওঁরা বঞ্চিত হয়েছেন।” জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কনক মোহান্ত ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা চারজনের নাম রাখার অনুমতি চেয়েছিলাম। বিকাশ ভবন একশো শতাংশ প্রতিবন্ধীদের নিয়োগেআদালতের রায়ের কপি না থাকার কারণে নাম কেটে দেয়।” |