তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নব গঠিত মালদহ জেলা কমিটি নিয়ে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। প্রদেশ কমিটি অনুমোদিত জেলা কমিটির বিরুদ্ধে সংগঠনের একাংশ জেহাদ ঘোষণা করেছে। বিদ্রোহীরা কমিটি বাতিল করে নতুন করে কমিটি গঠনের দাবি তুলে প্রদেশ কমিটির কাছে পাল্টা তালিকা পাঠিয়েছে। দলের যুব সংগঠনে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যুব সংগঠনের যে নেতারা প্রদেশ কমিটির অনুমোদিত কমিটি বাতিলের দাবি তুলেছেন তাঁদের একহাত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। তিনি বলেন, “প্রদেশ অনুমোদিত জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি বাতিলের দাবিতে যারা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিচ্ছেন তাঁরা দল বিরোধী কাজ করছেন। কমিটি নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে। সেটা প্রদেশ কমিটিকে জানাতে পারেন। কিন্তু সেটা না করে প্রকাশ্য মুখ খুলবেন কেন!” দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা সভাপতির সুপারিশে প্রদেশ তৃণমূল যুব কংগ্রেস অম্লান ভাদুড়িকে জেলা সভাপতি করে ৪৪ জনের কমিটি অনুমোদন করেছে। শনিবার প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির অনুমোদিত ওই কমিটির তালিকা মালদহে পৌঁছতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যুব নেতা অনন্ত চক্রবর্তী, নাসিমুল ইসলাম ও সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। ক্ষুব্ধ অনন্তবাবু বলেন, “আমাদের অন্ধকারে রেখে ওই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। আমরা এটা মেনে নিতে পারব না। তৃণমূল কংগ্রেসকে ধ্বংস করার জন্য সিপিএম ও কংগ্রেসের সুপারিশে অযোগ্য লোকদের নিয়ে কমিটি তৈরি করা হয়েছে।” নাসিমূল ইসলাম বলেন, “কমিটির ৪৪ জনের মধ্যে মুসলিম প্রতিনিধি মাত্র ১৪ জন। সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করে কমিটি গড়া হয়েছে। এটা মানা যায় না।” তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “সভাপতিপদ ধরে রাখতে দুনীর্তিগ্রস্থদের কমিটিতে ঢোকানো হয়েছে।” তাঁর বিরুদ্ধে দলের একাংশ বিদ্রোহ করে পাল্টা তালিকা পাঠানোয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “যারা বিরুদ্ধে বলছেন তাঁরা দলকে ভাঙিয়ে ব্যবসা করছেন। বেশি বাড়াবাড়ি হলে তাঁদের মুখোশ খুলে দেওয়া হবে।” তিনি জানান, ৬ জন স্কুল শিক্ষক, আইনজীবী ও ভাল ব্যক্তিদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। |