কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে গাটছড়া বাঁধতে চলেছে, তার প্রমাণ দিয়েছে জঙ্গিপুর লোকসভা উপনির্বাচন। রবিবার জলপাইগুড়িতে যুব কংগ্রেসের পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনে এমনই দাবি করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। ২০০৯ সালে লক্ষাধিক ভোটে জেতা কংগ্রেসের জঙ্গিপুর কেন্দ্রটি বছর তিনেকের ব্যবধানে উপনির্বাচনে কংগ্রেস হাজার দুয়েকের কিছু বেশি ভোটে জিতেছে। মানসবাবুর দাবি, “জঙ্গিপুরে তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি। তৃণমূলের ভোট ইচ্ছেকৃতভাবে বিজেপির বাক্সে ফেলা হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করে মুখ্যমন্ত্রী যেদিন দিল্লিতে ধর্না দিতে গিয়েছিলেন, সে দিনই বুঝেছিলাম ওঁর পরবর্তী গন্তব্য বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানির বাড়ি। আর তারপরেই জঙ্গিপুর ভোটে দেখা গেল তৃণমূল প্রার্থী নেই, আর বিজেপির ভোট বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮৬ হাজার। তৃণমূলের মুখ আর মুখোশ বার হয়ে গিয়েছে।” আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করতেই এদিন জলপাইগুড়ির আর্ট গ্যালারিতে সম্মেলনের আয়োজন করে যুব কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসাবে মানসবাবু পুজোর পর থেকেই জেলার সব ব্লকের বিডিওদের ঘেরাও অভিযান করার নির্দেশ দিয়েছেন। মানসবাবু বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলাতে ১০০ দিনের কাজে ১০০ দিনই কাজ পেয়েছেন এমন পরিবারের সংখ্যা হাতেগোন। কেন সব পরিবারকে একশো দিনই কাজ দেওয়া গেল না তা জানতে বিডিওকে ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করবে কংগ্রেস।” সম্মেলনে যুব কংগ্রেসের প্রদেশ নেত্রী মৌসম বেনজির নূর, প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়, জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহন বসু-সহ অনান্য নেতার ছিলেন। মৌসম বলেন, “সিপিএমের মতোই তৃণমূল সরকারও বঞ্চনা শুরু করেছে। রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি নিয়েও সরকার রাজনীতি করছে। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের যুব কংগ্রেস সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সভার শুরুতেই বলেন, “রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলির ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে তৃণমূল যে সন্ত্রাস শুরু করেছে, তাকে মোকাবিলা করতে জেলায় বুথস্তর থেকে কর্মীদের প্রস্তুত রাখতেই এই সম্মেলন।” |