স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে রবিবার দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হল ময়নাগুড়ির পুঁটিমারি ও সাপ্টিবাড়ি-১ এলাকায়। অভিযোগ, লাঠিসোটা নিয়ে বিরোধী শিবিরের সমর্থক অভিভাবকদের ভোট দানে বাধা দেয় তৃণমূল সমর্থকরা। ভাঙচুর হয় কামতাপুর পিপলস পার্টির (কেপিপি) নেতার গাড়ি। সংঘর্ষে দুই তৃণমূল এবং এক সিপিএম সমর্থক জখম হয়েছেন। পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও ময়নাগুড়ি ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুভাষ বসু ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “পরাজয়ের ভয়ে বামফ্রন্টের লোকজন এ দিন গোলমাল করে।” জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেমস কুজুর বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।” এ দিন পুঁটিমারি মথুরামোহন হাই স্কুল এবং সাপ্টিবাড়ি-১ হাই স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন হয়। মথুরামোহন হাই স্কুলের ছয়টি আসনে তৃণমূল, বিজেপি এবং কেপিপি প্রার্থী দেয়। সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা তাঁদের সমর্থিত প্রার্থীদের মনোয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি। এমনকী এ দিন ভোট দিতে গেলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সিপিএমের ময়নাগুড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ ঘোষ বলেন, “বামফ্রন্টের সমর্থক কেউ ওই স্কুলে ভোট দিতে পারেনি। তৃণমূলের সমর্থকরা তাঁদের ভয় দেখিয়ে ফিরিয়ে দেয়।” এ দিন দুপুর নাগাদ ওই স্কুলে ভোটের পরিস্থিতি দেখতে যান কেপিপি সভাপতি নিখিল রায়। সেখানে তৃণমূলের সমর্থকরা তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। নিখিলবাবু বলেন, “প্রচুর ভোটদাতা ভোট দিতে পারেনি। পরিস্থিতি দেখতে গাড়ি রেখে স্কুলের দিকে এগিয়ে যেতে তৃণমূলের সমর্থকরা ভাঙচুর চালায়। পুলিশকে ঘটনার কথা জানিয়েছি।” কেপিপির ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শিবশঙ্কর দত্ত। তিনি বলেন, “একজন ভোটদাতাকেও বাধা দেওয়া হয়নি। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।” এ দিকে স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকে সাপ্টিবাড়ি-১ এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কয়েক দফায় মারপিট হয় তৃণমূল ও বামফ্রন্টের সমর্থকদের মধ্যে। সেখানে তিন জন জখম হন। পরে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। |