|
|
|
|
সিপিআই ছেড়ে তৃণমূলে যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সিপিআই ছেড়ে প্রায় ৫০০ জন কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেন। রবিবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের বনপুরাতে তৃণমূলের প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। সেখানেই নবাগত সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বনপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান হোসেন মল্লিক। মৃগেনবাবু বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে ৫ জন পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় ৫০০ জন সিপিআই কর্মী আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।” অন্যদিকে সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রানা বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে কাজ করা ও দূর্ণীতির জন্য হোসেন মল্লিককে বিধান সভা নিার্বচনের পরেই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। বাকিদের মধ্যে কারা গিয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখব।”
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনপুরা এলাকায় সিপিআইয়ের সংগঠন ছিল মজবুত। বামফ্রন্টের সময়েও সিপিআইয়ের প্রধান্য ছিল। মাঝে মধ্যে দুই শরিকে সংঘর্ষও হত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তাই তৃণমূলের লক্ষ্য ছিল ওই এলাকায় নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধি। ভেতরে ভেতরে সে কাজে অবশ্য অনেকটাই সফল হয়েছিল তৃণমূল। এবার সিপিআই কর্মী-সমর্থকদের সরাসরি নিজেদের দলে নিয়ে নিল তৃণমূল। কাস্তে ধান শিসের পরিবর্তে ঘাসের উপর জোড়া ফুলের পতাকা ধরিয়ে দিল। ফলে ওই এলাকায় বামফ্রন্ট অনেকটাই দুর্বল হয়ে গেল তৃণমূলের দাবি। সিপিআই অবশ্য সেই দাবি মানতে নারাজ।
বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। যে শিবিরের প্রধান লক্ষ্য সংগঠনকে মজবুত করা ও নির্বাচন কী ভাবে করতে হয় সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দল সরকারে আসায় হঠাৎ করে দলের কর্মী ও সমর্থকের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের বেশিরভাগেরই নির্বাচন করার কোনও অভিজ্ঞতা নেই। আবার তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে মজবুত করারও তেমন প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মৃগেনবাবু বলেন, “আমাদের বুঝতে হবে, বিরোধীরা হাত গুটিয়ে বসে নেই। তাই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে হলে আগে থেকে সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করা প্রয়োজন। প্রয়োজন তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে মজবুত করাও। সেই লক্ষ্যেই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন।” তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত লোকসভা নির্বাচন থেকে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত যে হাওয়া ছিল, বর্তমানে তা নেই। বরং ধীরে ধীরে তা অনেকটাই কমছে। কারণ, দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মারামারি।সাধারণ মানুষের মনে এই সব ঘটনা বিরূপ প্রভাব ফেলছে। উল্টোদিকে রয়েছে সাংগঠনিক দিক দিয়ে চাঙ্গা সিপিএমের মতো রাজনৈতিক দল। তাই ভবিষ্যতে যে কোনও নির্বাচনে মোকাবিলা করতে হলে সংগঠনকে মজবুত করা খুবই জরুরী। মৃগেনবাবু বলেন, “প্রশিক্ষণ শিবিরে এই বিষয়ের উপরেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|