|
|
|
|
শুভেন্দুকে ‘খোঁচা’ মানসের
নিজস্ব সংবাদদাতা • সবং |
তাঁর ‘খাসতালুক’ বলে পরিচিত সবংয়ে এসে তাঁকেই আক্রমণ করেছিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, “পঞ্চায়েত দখল করেই সিপিএমের বন্ধু কংগ্রেসকে সবং থেকে একেবারে উৎখাত করতে হবে। এখানে একক শক্তি হিসেবেই আমাদের দল মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।” নাম না- করে এ বার সেই আক্রমণ ফিরিয়ে দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। সবংয়ের এক সভায় তিনি বললেন, “যাঁরা বাইরে থেকে এসে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছেন, তাঁদের বলব, সবং যেমন ভালবাসতে জানে, তেমন প্রতিবাদও করতে জানে। এই সরকারের সবে দেড় বছর পেরিয়েছে। অপেক্ষা করুন। কী হয় দেখতে থাকুন। সবংয়ের মানুষ কারও কাছে মাথা নীচু করবে না। গণতন্ত্রকে খুন করার চেষ্টা হলে মানুষ তার নিজের পথ বেছে নেবে।”
ওই সভা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করারও ডাক দেন মানসবাবু। তাঁর কথায়, “একটা সময় পর্যন্ত মানুষ সব সহ্য করতে পারে। রাজ্যে পরিবর্তন হয়েছে। এরপরও কেন অত্যাচার চলবে? আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেই জবাব দিতে হবে। এখন থেকে নির্বাচনের জন্য তৈরি হন।” শনিবার সবং হাইস্কুলের মাঠে এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা অসিত মাল, জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে প্রমুখ। কেন এই সভা? ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অমল পন্ডা বলেন, “তৃণমূল ও পুলিশের সন্ত্রাসের প্রতিবাদেই আমরা বিক্ষোভ- সভা করেছি। এক সময় সিপিএমের ছত্রছায়ায় থেকে যাঁরা মানুষের উপর অত্যাচার করেছেন, তাঁরাই এখন তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন।” দেড় সপ্তাহ আগে সবংয়ের রুইনানে এক সভা করে তৃণমূল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু। তৃণমূলের সভা থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছিল, কংগ্রেসের সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রায় একই অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবংয়ের মতো এলাকায় যে তৃণমূলকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না, দলের সভা থেকে তাও স্পষ্ট করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি স্বপনবাবু যেমন বলেছেন, “সবং প্রতিবাদ করতে জানে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এখন মিথ্যে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইবে।” পুলিশের একাংশের সমালোচনা করে সবংয়ের বিধায়ক বলেন, “পুলিশ যদি অন্যায় করে তাহলে কংগ্রেসের আন্দোলন চলবেই। এক সময় জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এখন মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে।” তাঁর কথায়, “বিধায়ক থাকি কিংবা না থাকিসবংয়ের মানুষ হিসেবে এখানকার মানুষের পাশে থাকব।” |
|
|
|
|
|