ডোপিংয়ের অভিযোগ থেকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে লান্স আর্মস্ট্রং বসতে পারেন লাই-ডিটেক্টর পরীক্ষায়।
এই ইঙ্গিত দিচ্ছেন, আর্মস্ট্রংয়ের আইনজীবী টিম হার্মান। তবে তিনি চান একইসঙ্গে সেই ২৬ জনও লাই-ডিটেক্টরের সামনে বসুন, যাঁরা আর্মস্ট্রংয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ডোপিং বিরোধী সংস্থায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর্মস্ট্রং লাই-ডিটেক্টরের সামনে বসলেও তাঁর আইনজীবী সতর্ক করেছেন, “আমি যন্ত্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করব না, যদি সেটা খুব উন্নতমানের হয় এবং কোনও উপযুক্ত লোক সঠিক ভাবে যন্ত্রটা ব্যবহার করে।”
আন্তর্জাতিক সাইক্লিং সংস্থার বক্তব্য: যুক্তরাষ্ট্রের ডোপিং বিরোধী সংস্থার রিপোর্টকে এখনই মেনে নিয়ে শাস্তির পথে না-ও হাঁটতে পারে আন্তর্জাতিক সাইক্লিং সংস্থা। শাস্তি বলতে আর্মস্ট্রংকে সারা জীবনের জন্য নির্বাসিত করা এবং তাঁর সাতটি ত্যুর দ্য ফ্রাঁসের খেতাব কেড়ে নেওয়া। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিচারের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সংস্থা ঠেলে দিতে পারে খেলাধুলোর সর্বোচ্চ আদালত জুরিখের আর্বিট্রেশনে।
আর্মস্ট্রংয়ের প্রাক্তন সতীর্থের কথায়: স্কটল্যান্ডের ডেভিড মিলার আর্মস্ট্রংয়ের সতীর্থ ছিলেন ১৯৯৭-এ কফিডিস টিমে। মিলার প্রশংসা করেছেন ক্রিশ্চিয়ান ভান্ডে ভেল্ডে, ডেভিড জাব্রিস্কি এবং টম ড্যানিয়েলসনের। আর্মস্ট্রংয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য। যাঁরা সকলেই ক্যানসার সারিয়ে ফেরা কিংবদন্তি মার্কিন সাইক্লিস্টের সতীর্থ ছিলেন এক সময়। মিলার বলছেন, “কেউ ডোপিং নিয়ে কিছু বলতে গেলেই আগে তাদের একঘরে করে দেওয়া হয়েছে। সেই ব্যাপারটা আর নেই।” ২০০৫ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডাচ হেইন ভারব্রুগেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্যাট ম্যাকুইডকে ভারব্রুগেনের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে মিলার বলেছেন, “যে সব রিপোর্ট আসছে তাতে পরিষ্কার, ২০০৫ পর্যন্ত কিছু টিমে সিস্টেমেটিক ডোপিং হয়েছে।” |