পড়ন্ত পুজোকে বাঁচালেন প্রমীলারা
য়স বাড়ছে, কমছে লোকবল, সামর্থ্যেও আর কুলোতে পারছিলেন না তাঁরা। ফলে প্রায় বন্ধই হয়ে যেতে বসেছিল পুজো। কিন্তু ঘরে ঘরে মায়েরা থাকতে মায়ের বাপেরবাড়ি আসা কী আটকায়।
মেদিনীপুর শহরের ছোট্ট পাড়া ক্ষুদিরামনগর (মাইকো লেন)। বাস করেন ৬০টি পরিবার। শেষ দশ বছর পুরুষদের উদ্যোগেই এখানে সর্বজনীন দুর্গোৎসবের আয়োজন হত। কিন্তু এ বার কেউ বয়সে, কেউ অসুখে সরে আসায় হাল ধরতে এগিয়ে এলেন পাড়ার মহিলারাই। চাঁদা তোলা থেকে পুজোর আয়োজন সবই সামলাচ্ছেন। গড়া হয়েছে নতুন কার্যকরী কমিটি। সম্পাদক, সহ-সম্পাদক, সভাপতি, সহ-সভাপতি থেকে কোষাধ্যক্ষ-সবাই মহিলা। উদ্যোক্তারা কেউ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী, শিক্ষিকা। কেউ বা গৃহবধূ। পুজো কমিটির সম্পাদক, অবসরপ্রাপ্ত মেদিনীপুর মেডিক্যালের কর্মী বিদ্যুৎলতা রাণা বলেন, “আগে যাঁরা আয়োজন করতেন, তাঁদের অনেকেই অসুস্থ। পাড়ায় যুবকও কম। কিন্তু পুজো বন্ধ হয়ে যাবে, এটা মানতে কষ্ট হচ্ছিল।”

—নিজস্ব চিত্র।
বাজেট বেশি নয়। দেড় লক্ষ। অন্যতম উদ্যোক্তা মিনতি পাল বলেন, “পাড়ার সকলের চাঁদায় পুজো হয়। জাঁকজমক ততটা নেই ঠিকই, তবে আনন্দটাই বড়।” এ বারও অষ্টমীর দিন পাত পেড়ে খাওয়াদাওয়া হবে। এখন সে সবেরই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সন্ধ্যা সেন, জ্যোৎস্না পলমল, প্রতিমা ঘোষেরা। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা সন্ধ্যাদেবী পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা জ্যোৎস্নাদেবী সহ-সভাপতি। প্রতিমাদেবী সহ-সম্পাদক। আগে পুজো কমিটির সভাপতি পদে ছিলেন আইনজীবী শ্যামলেন্দু মাইতি। এ বার সেই পদে তাঁর স্ত্রী শ্যামলীদেবী। পাড়ার মহিলারা এগিয়ে না এলে যে পুজোটা বন্ধই হয়ে যেত, তা মানছেন পুজো কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তী।
এই পুজোয় প্রতিমাও গড়ছেন এক মহিলা। খড়্গপুরের মণিকা পাল। আখেরেই এই পুজো দশভূজার।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.