|
|
|
|
আঁধার আকাশে আলোর অঙ্গীকার
সুমন ঘোষ • মেদিনীপুর |
কথায় বলে নারী সমাজের অর্ধেক আকাশ। কিন্তু ক্রমেই আঁধারে ঢাকছে সে আকাশ। কন্যা ভ্রুণ হত্যা থেকে ধর্ষণ, বধূ নির্যাতন, ডাইন সন্দেহে কুপিয়ে খুন বা একঘরে করে দেওয়া, সামান্য টাকার বিনিময়ে কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দেওয়া হরবকত ঘটছে এমনই সব ঘটনা। এর থেকে কী নিষ্কৃতি নেই? জগজ্জননীর কাছে সেই প্রশ্নই রেখেছেন খাপ্রেল বাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
মেদিনীপুর শহরের এই পুজোয় এটাই এ বারের থিম। উদ্যোক্তাদের মতে, পুজো আনন্দের ঠিকই। কিন্তু তার সঙ্গে একটা সামাজিক বার্তা থাকাও জরুরি। দেব-দেবীর সঙ্গে অসুরের লড়াই তো আসলে প্রতীকী। শুভ শক্তির হাতে অশুভ শক্তির পরাজয়ই সেখানে একমাত্র বার্তা। তাই নারী নির্যাতন প্রতিরোধের বার্তা নিয়েই এ বারের মণ্ডপ ও প্রতিমা সাজাচ্ছেন খাপ্রেলবাজারের উদ্যোক্তারা। মণ্ডপে দেবী দুর্গা থাকলেও থাকবে না মহিষাসুর। পরিবর্তে আমাদেরই চারপাশের নানা মানুষ, যাদের ভেতরের অসুর-প্রবৃত্তি জেগে ওঠে হামেশাই, যার স্বীকার হয় মেয়ে-বউরা তাদের দেখতে পাওয়া যাবে এই পুজোয়। নারী নির্যাতনের টুকরো টুকরো ছবি ফুটিয়ে তোলা হবে মডেলের সাহায্যে। তারই মাঝে সসন্তান দেবী দুর্গা। চারপাশে মেয়েদের প্রতি এত লাঞ্ছনা এসব দেখে দেবী ও বিমর্ষ। তাঁর কাছেই প্রতিকার চাইছে দুই কিশোরী কন্যা। তাদের আবেদন, ‘আইন করে নয়, প্রতিটি নারী যদি সচেতন হয়, তবেই নির্যাতনে দাঁড়ি পড়বে। একটি কন্যাভ্রুণও পৃথিবীর আলো থেকে বঞ্চিত হবে না।’ পুজোর উদ্যোক্তা অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত ভকত বলেন, “আমরা বোঝাতে চাইছি, কী ভাবে মেয়েদের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার, নিপীড়ন চলছে। আমরা যেন বুঝতে পারছি না। নাকি বুঝেও বুঝতে চাইছি না। এ ক্ষেত্রে সচেতনতার বার্তা দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ।” |
|
|
|
|
|