নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
বিবাহিতা এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কমিটির সম্পাদক গণেশ অধিকারীর ছেলে অরিজিতের বিরুদ্ধে। ওই যুবকের এক বন্ধুকে একই অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগকারিনীর দাবি, ঘটনাটি ঘটে গত ২৮ জুলাই। ‘মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত’ থাকায় তিনি এত দিন ঘটনার কথা কাউকে জানাননি। দিন পনেরো আগে বিষয়টি হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরীকে লিখিত ভাবে জানান ওই মহিলা। রবিবার সুপারের নির্দেশে ধর্ষণের মামলা রুজু করে আরামবাগ থানা। গ্রেফতার করা হয় অরিজিতের বন্ধু, আরামবাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিরাম বেরাকে। অরিজিৎ পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এত দিন পরে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় এই ঘটনায় ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’ আছে বলেই মনে করছেন সিপিএম নেতৃত্ব। গণেশবাবু বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ তুলে তৃণমূল ও পুলিশ যৌথ ভাবে আমাকে অপদস্ত করার চক্রান্ত করেছে। গত কয়েক মাস ধরেই তৃণমূল আরামবাগে রাজনৈতিক জমি হারাচ্ছে। আমরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছি। এটা তারই জের।” স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা অবশ্য বলেন, “অপরাধ দমনে পুলিশের ভূমিকায় আমরা খুশি। ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তের গল্প বলে লাভ নেই। অপরাধীরা কে কোন রাজনৈতিক দলের, আমরা তা দেখি না। পুলিশকে আইন মেনে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।”
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ শহরের বাসিন্দা ওই মহিলা পেশায় শিক্ষিকা। তাঁর সঙ্গে পরিচয় ছিল অরিজিতের। ঘটনার দিন মহিলার স্বামী বাড়ি ছিলেন না। সে সময়ে অভিরামকে নিয়ে মহিলার বাড়ি যান অরিজিৎ। ওই মহিলা এসপিকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, সকলের জন্য চা করে এনেছিলেন তিনি। দুই যুবক জল চাইলে তিনি ভিতরের ঘরে যান। সে সময়ে তাঁর চায়ের কাপে মাদক মিশিয়ে দেন দুই যুবক। ওই চা খেয়ে মহিলা আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাঁকে ধর্ষণ করেন দু’জন।
সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ যখন উঠেছে, সঠিক ভাবে তার তদন্ত হোক। তবে রাজনৈতিক অভিসন্ধি চরিতার্থ করার জন্য যেন ষড়যন্ত্র করা না হয়।” |