পুজোর আগে শেষ রবিবার বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঢল নামল পুজোর বাজারে। চুঁচুড়া, চন্দননগর, শ্রীরামপুর, উলুবেড়িয়া, বাগনান, আমতা সর্বত্রই এক চিত্র।
জেলা সদর চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়, খড়ুয়া বাজার, আখন বাজারের মতো জায়গাগুলিতে এ দিন পা ফেলার জায়গা ছিল না। শুধু চুঁচুড়াই নয়, ব্যান্ডেল, বাঁশবেড়িয়া, ত্রিবেণী, বলাগড়, গুপ্তিপাড়া, পাণ্ডুয়া, ধনেখালি, পোলবা থেকে বহু মানুষ পুজোর কেনাকাটা করতে চুঁচুড়ায় আসেন। এ দিন সকাল থেকে আকাশে রোদ্দুর ছিল। তা দেখে ব্যবসায়ীদের মুখে ছিল চওড়া হাসি। সকাল থেকে বাজার জমছিলও ভালই। কিন্তু বেলা আড়াইটে নাগাদ আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বৃষ্টিও শুরু হয়। তবে, ছিটেফোঁটা বৃষ্টি মানুষের উৎসাহে আদৌ জল ঢালতে পারেনি। ছাতা, বর্ষাতি হাতেই অনেকে বেরিয়ে পড়েন জামা-প্যান্ট, শাড়ি-সালোয়ার বা বাহারি লেহেঙ্গার খোঁজে। |
চন্দননগরের বাগবাজার, জ্যোতির মোড়ে এ দিন চুটিয়ে কেনাকাটা করেছেন মানুষ। বস্ত্র বিপণি থেকে জুতো অথবা প্রসাধনের দোকান সব জায়গাতেই ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়। আবার পুজোর বাজার করে হোটেল-রেস্তোরায় খাওয়া দাওয়া করে ফিরলেন অনেকেই। ফলে, খাবার দোকানগুলিতেও কার্যত লাইন পড়ে যায়। চুঁচুড়ার একটি নামি বস্ত্র বিপনীর কর্ণধার স্বপন মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “বেলা যত বেড়েছে ভিড়ও লাফিয়ে বেড়েছে। বৃষ্টি নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। সময় গড়াতেই অবশ্য সেই চিন্তা দূর হয়।”
শ্রীরামপুর জেলার অন্যতম বড় বাজার। শ্রীরামপুর, রিষড়া, কোন্নগর, হিন্দমোটর, বৈদ্যবাটি, ভদ্রেশ্বর-সহ নানা জায়গার মানুষ এখান থেকে পুজোর কেনাকাটা সারেন। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি চণ্ডীতলা, জাঙ্গিপাড়া, সিঙ্গুরের মতো গ্রামাঞ্চলের মানুষও শ্রীরামপুর থকেই পছন্দসই পোশাক বা অন্য জিনিসপত্র কেনেন। এ দিন বেলা যত বেড়েছে শ্রীরামপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে দলে দলে লোক নেমেছেন। গন্তব্য স্টেশন সংলগ্ন রাজেন্দ্র বাগ রোড, নেতাজি সুভাষ অ্যাভেনিউ অথবা বিপি দে স্ট্রিটের একের পর এক বস্ত্র বিপণি। বিকেলের কয়েক পশলা বৃষ্টি এর মেঘের কারণে ব্যবসায়ীদের কপালে কিছুটা ভাঁজ পড়লেও সন্ধ্যা নামতেই সেই চিন্তা দূর হয়ে যায় তাঁদের। সন্ধার পর থেকে ওই সব রাস্তায় কার্যত পা ফেলার জায়গা ছিল না। ফলে, হাসি চওড়া হয় ব্যবসায়ীদের মুখে। পুজোর এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও বিউটি পার্লারগুলিতেও রূপচর্চায় ব্যস্ত থেকেছেন কিশোরী থেকে যুবতী।
একই দৃশ্য উলুবেড়িয়াতেও। আকাশের মুখ দুপুর থেকেই গোমড়া। তাতেও পরোয়া করেনি উৎসব প্রিয় মানুষ। দোকানে উপচে পড়েছে ভিড়। |