|
|
|
|
তদন্ত শুরু উত্তরপ্রদেশে |
ছবি দেখিয়ে খুরশিদের পাল্টা হুঙ্কার |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের যে কোনও ভিত্তি নেই, তা প্রমাণ করতে আজ ছবি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হলেন সস্ত্রীক কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। জানিয়ে দিলেন, যে কোনও ধরনের তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী লুই খুরশিদ প্রস্তুত। একই সঙ্গে সলমন খুরশিদ এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
সলমন খুরশিদ যা-ই বলুন, ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা। শাখার ডিজি সুব্রত ত্রিপাঠী বলেন, “তদন্তের জন্য চারটি দল গঠন করা হয়েছে।”
খুরশিদ এবং লুইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের ১৭টি জেলার প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে শিবির করার জন্য তাঁদের পরিচালিত ট্রাস্টকে কেন্দ্র যে ৭১.৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিল, তা নয়ছয় করা হয়েছে। |
|
সাংবাদিক বৈঠকে সলমন এবং লুই খুরশিদ। ছবি: পিটিআই |
শিবির করাই হয়নি। শুধু তাই নয়, একটি টিভি চ্যানেলের স্টিং অপারেশনেও অভিযোগ উঠেছে, অনুদান পাওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক আমলার সই জাল করা হয়েছে। খুরশিদের ইস্তফার দাবিও তুলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা। অস্বস্তি কাটাতে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। তাঁর দাবি, “৭১.৫ লক্ষ টাকার ব্যাপারে কিছুই প্রমাণিত হবে না। যে কোনও সংস্থাই তদন্ত করুক, সত্য বেরিয়ে আসবে।” প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে শিবির হওয়ার প্রমাণ হিসেবে তিনি কিছু ছবিও দেখান। তবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানান, তদন্তে সংবাদমাধ্যমের একাংশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা উচিত। সাংবাদিক বৈঠকে বেশ কয়েক বার মেজাজ হারান খুরশিদ। সাংবাদিক বৈঠক শুরুর আগে খুরশিদ চান, সংবাদমাধ্যমের একাংশ যেন বাইরে চলে যায়। কিন্তু অন্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাতে আপত্তি জানান। |
|
|
|
|
|