মালালা ইউসুফজাইয়ের উপর হামলার অভিযোগে তালিবান কম্যান্ডারের তিন ভাইকে সোয়াট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মালালা এখনও ভেন্টিলেটরেই রয়েছে। তবে খুব ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে তার।
গত কাল খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের নওশেরা থেকে ওই তিন জনকে ধরা হয়। তাদের অজানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোয়াটে মৌলানা ফজলুল্লার নেতৃত্বে ২০০৯ পর্যন্ত সক্রিয় ছিল তালিবান। এই ফজলুল্লার হয়ে কাজ করত যে তালিবান কম্যান্ডার, ধৃতরা তার ভাই বলে জানা গিয়েছে।
এর মধ্যে চিকিৎসকরা মালালাকে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে হলেও তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এত দিন অচেতন থাকলেও গত কাল সে হাত-পা সামান্য নাড়াতে পেরেছে। যেটা চিকিৎসকদের কাছে আশাব্যঞ্জক। তবে মালালাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নন তারা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পাক রাষ্ট্রদূত জামিল আহমেদ খান জানান, সে দেশের রাজপরিবার মালালার জন্য ইসলামাবাদে ছ’জন চিকিৎসক এবং এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাতে চেয়েছে। দুবাই এবং আবু ধাবির তিনটি হাসপাতালে মালালার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মালালার সঙ্গেই সে দিন স্কুল থেকে ফেরার পথে তালিবান হামলায় জখম হয়েছিল তার দুই বন্ধু কাইনাত এবং শাজিয়া। মালালার মতোই তারাও একরোখা। বন্ধুর জন্য প্রার্থনা করার পাশাপাশি কাইনাত-শাজিয়া বলেছে, তালিবান যতই হুমকি দিক, তারা পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। কাইনাতের ইচ্ছে সে পেশায় চিকিৎসক হবে। মালালার নামে করাচিতে মেয়েদের যে সরকারি স্কুল ছিল, তাতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ ছিল। সেখানে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। মালালার জন্য গত কয়েক দিন ধরেই প্রার্থনা করছে এই স্কুলের ছাত্রীরা। এ বার মালালার চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা
তুলে তার বাবা-মাকে পাঠিয়েছে স্কুলের মেয়েরা।
মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে তালিবানের বিরুদ্ধে যে লড়াই করেছে, সেই মেয়েকে হামলার শিকার হতে হল কেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এই বিষয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের চিঠি লিখেছেন। তালিবান হামলার নিন্দা করে তিনি বলেন সন্ত্রাস রুখতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। |