ওয়াশিংটন বেজিং কায়রো দারা আদম খেল তেল আভিভ |
প্রেসিডেন্ট বিতর্ক এক রাউন্ড হয়ে গিয়েছে, এ বার দুই ‘রানিং মেট’-এর বিতর্ক। মুখোমুখি হলেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (ডান দিকে) এবং রিপাবলিকান ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পল রায়ান (বাঁয়ে)। বাইডেনকে যেমন আক্রমণাত্মক, তেমনি প্রত্যয়ী দেখাল এই বিতর্কমঞ্চে। অর্থনীতি, বিদেশনীতি, জাতীয় সামাজিক কার্যক্রম সব বিষয়ে তীব্র চাপান-উতোরের মধ্যে এক বারই বাইডেনকে বেকায়দায় ফেললেন রায়ান, সেটা লিবিয়ার উপর নেটো-আক্রমণ শানানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে।
• জুন মাসে মিশরের নতুন জমানা শুরু হওয়ারপর এত বড় হিংসার তাণ্ডব আর ঘটেনি সে দেশে। এই শুক্রবার কায়রোর তহরির স্কোয়্যার আগুনের লেলিহান শিখায় ভয়ানক হয়ে উঠেছিল। কারণ? প্রেসিডেন্ট মুর্সি সেখানকার বিদ্রোহীদের উপর হিংস্র আক্রমণ করেছিল, এমন ২৪ জন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এই জন-বিক্ষোভ।
• উত্তরপশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার অঞ্চলের শহর দারা আদম খেল-এর বাজারে তালিবানি বোমা বিস্ফোরণ। ১৪ জন নিহত। সরকারি সেনারাই নাকি বোমার লক্ষ্য ছিল।
• ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘরে বাইরে মহা সমস্যায়। ওবামার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ক্রমেই তলানিতে। তার উপর দেশের ভিতরে তাঁর নীতির বিরোধিতা এতটাই যে তিনি পরবর্তী নির্বাচন এগিয়ে দেবার কথা জানালেন।
|
• মো ইয়ানের নোবেল উপলক্ষে হঠাৎই পৃথিবী জুড়ে উঠে এল একটি নাম: লিউ জিয়াওবো। দুই বছর আগে চিনা মানবাধিকার কর্মী জিয়াওবোকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু নোবেল প্রাপ্তির পরেও তাঁকে আজ অবধি জেলের বাইরে দেখা যায়নি। তাঁর মুক্তির দাবি পশ্চিম বিশ্বে। মো ইয়ানও বলতে বাধ্য হলেন যে: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লিউ জিয়াওবো-র মুক্তি পাওয়া উচিত। |
|
মাটিতে দাগ কেটে বেড়াল বলেছিল, ‘এই ধরো গেছোদাদা।’ আর একটা দাগ কেটে ‘এই গেছোবৌদি রান্না করছে।’ ঠিক তেমনই সুর শোনা গেল ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর গলায়। বক্তৃতার ফাঁকে হঠাৎ একটা বড় গোল-আঁকা সাদা কাগজ সামনে তুলে ধরে তিনি সমবেত ভদ্রমণ্ডলীকে বললেন, ‘এই ধরুন বোমা।’ কিয়ৎকাল নীরবতা। তার পর, ‘এই ধরুন বোমার ফিউজ।’ আবার নীরবতা। তার পর ‘এই বোমার ইউরেনিয়াম।’ কোথায় থামলে তবে বোমা ফাটার ঘটনাকে আটকানো যাবে? ‘এইখানে’: বলে একটা মোটকা লাল দাগ! ইরানের পরমাণু বোমা কার্যক্রম আটকানোর চেষ্টায় খামোখা দেরি হয়ে যাচ্ছে, এই ব্যাপারটা বোঝাতেই তাঁর এই অভূতপূর্ব প্রয়াস! সমবেত ভদ্রমণ্ডলীর একাংশ বিষম বিরক্ত, একাংশ পরম আপ্লুত।
|
আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান হারুন উর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং বা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি এখন একটি বেসরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান। সেই সংস্থাটির কাজই নাকি কালো টাকাকে বিভিন্ন কৌশলে সাদা করা। হারুন উর জামিনে ছিলেন, কিন্তু অ্যান্টি করাপশন কমিশন তাঁদের জামিনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরেই তা নাকচ হয়ে যায়। তার পরেই আত্মসমর্পণ। এই প্রাক্তন সেনাপ্রধান এক জন মুক্তিযোদ্ধা। শেখ হাসিনার (ছবি) সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এই মামলা কি তারই ফল? নাকি আওয়ামি লিগ-বিএনপি রাজনৈতিক সমীকরণ কষা হচ্ছে?
|
প্লট ক্রমশই ঘোরালো থেকে ঘোরালোতর হচ্ছে! সিরিয়া ও তুরস্কের সম্পর্ক খুবই সংকটের জায়গায় রয়েছে কিছু দিন যাবৎ, সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী সমানেই সীমান্ত পেরিয়ে তুর্কি অঞ্চলে ও আকাশে হানা দিচ্ছে, তীব্র প্রতিক্রিয়ার হুমকি দিচ্ছে আঙ্কারা। এরই মধ্যে একটি ধৃত সিরীয় বিমানে পাওয়া গেল রাশিয়ার তৈরি স্তূপাকার অস্ত্রশস্ত্র। মস্কো অবশ্য দাবি করছে, অস্ত্র নয়, রেডার ইত্যাদি পাঠানো হচ্ছিল মস্কো থেকে দামাস্কাসে। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী এর্দোগান (ছবি) প্রেস কনফারেন্স ডেকে এই সংবাদ জানিয়েছেন। আমেরিকার প্রতিক্রিয়া: সিরিয়াকে এ ভাবে সমর্থন দিয়ে নৈতিক ভাবে জঘন্য অন্যায় কাজ করছে রাশিয়া। এর খেসারত তাদের দিতেই হবে। মস্কো অবশ্য অবিচলিত: এত সব হুমকি কিংবা অভিযোগ তাদের কানে পৌঁছচ্ছে কি?
|
ব্রিটেনে নতুন আইন পাশ হতে চলেছে, সন্তান জন্মের পর বাবাদের এক বছর পর্যন্ত “পেরেন্টাল লিভ” বা পিতৃত্ব ছুটি মিলবে। কিন্তু বাদ সাধছে বড় কোম্পানিগুলি। তাদের আশঙ্কা, এর ফলে অনেকটা আর্থিক ক্ষতি হবে ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির। তর্কবিতর্ক শুরু হয়েছে পুরোদমে। তবে যদি বা আইন পাশও হয়, ২০১৫-র আগে তা কার্যকর হচ্ছে না।
|
মঙ্গলবার ছিল বারাক ওবামা বনাম মিট রোমনি প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেট। কিন্তু কে কোথায় দাঁড়িয়ে, কার নীতি কী, আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার আর আউটসোর্সিং নিয়ে মত জানলেই চলবে কি? প্রশ্ন তুলেছে এক পিত্জা বিপণি। কেন, লাইফস্টাইল কি কম জরুরি? সংস্থাটি জানিয়েছে, ভাবী প্রেসিডেন্ট পিত্জায় কোন টপিং পছন্দ করেন, এই প্রশ্ন যিনি বিতর্ক-সভায় তুলবেন, তাঁর জন্য আজীবন পিত্জা ফ্রি। যত দিন বাঁচবেন, বাড়িতে পিত্জা পৌঁছে যাবে। পাটোয়ারি বুদ্ধি কতটা থাকলে এমন চমকপ্রদ বিপণন স্ট্র্যাটেজি মাথায় খেলে! তবে এ বার এটাই না একমাত্র প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়, সেটাও দেখার। |