|
|
|
|
উত্তাল মধুবনী |
পুলিশের গুলিতে ছাত্রের মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
এক ছাত্রের নিখোঁজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে আর এক ছাত্রের মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে উঠল মধুবনী। গত কাল দিনভর উত্তেজনার পর তা আজ আরও ছড়িয়েছে। আজ একটি থানায় এবং ব্লক অফিসে ছাত্র ও জনতা ভাঙচুর চালায়। তার পর আগুন লাগিয়ে দেয়।
ঘটনার শুরু কয়েকদিন আগে। প্রশান্ত কুমার (১৭) নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্র সদর এলাকার একটি মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। মেয়েটির বাবা রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কমর্চারী। ২ অক্টোবর সদর থানার কাটনাপুরে একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেই মৃতদেহ দেখে প্রশান্তের বাড়ির লোকেরা দেহটি তাদের ছেলের বলে দাবি করে। পুলিশ সেই মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠায়।
পুলিশের বক্তব্য, যে মৃতদেহটি পাওয়া গিয়েছে তার বয়স প্রায় ২৬ বছর। বয়সের ফারাকে পুলিশের সন্দেহ হয় যে এটি ওই দশম শ্রেণির ছাত্রের দেহ নয়। তাই পুলিশ ওই মৃতদেহটি তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেয়নি। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মৃতদেহ না পেয়ে প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে প্রশান্তের মা বিনীতা দেবী এবং ঠাকুমা করিশমা দেবী জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসেন। গত কাল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার মানুষ সেখানে জড়ো হয়। এরপরেই ছাত্র ও জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে থানায় ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ লাঠি চালিয়ে তাদের হঠাতে গেলে উত্তেজিত জনতা আদালত থেকে কারাগারগামী কয়েদিদের একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। কয়েদিদের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনার ব্যাপারে জেল সুপারিনটেনন্ডেট অনিল কুমার আর্য্য বলেন, “২২ জন কয়েদিকে নিয়ে গাড়িটি আদালত থেকে জেলে ফেরার পথে আক্রান্ত হয়। গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় ২২ জন পালিয়ে যায়। পরে ৯ জন ফিরে আসে।” অন্য দিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়। তাতে তিন জন জখম হয়। গত কাল সন্ধ্যার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু রাতে পুলিশের গুলিতে জখম এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আজ সকাল থেকে ফের উত্তাল হয়ে ওঠে মধুবনী।
আজ পুলিশ জানায়, উত্তেজিত জনতা বাসোপত্তি থানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। পাশের ব্লক অফিসেও তারা আগুন ধরায়। আন্দোলনরত ছাত্রদের দাবি ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করাতে হবে। |
|
|
|
|
|