|
|
|
|
প্রক্রিয়া শুরু পদোন্নতিরও |
দেড় দশক পর কর্মীর খরা কাটছে প্রসার ভারতীতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ক’দিন আগেই প্রসার ভারতীর বিপুল ঋণ মকুব করেছে সরকার। সেই সঙ্গে সংস্থাটিকে স্বনির্ভর করে তুলতে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক সাহায্যও করেছে কেন্দ্র। আর আজ দেড় দশকের খরা কাটিয়ে প্রসার ভারতীতে নতুন কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল মনমোহন সিংহ সরকার। প্রথম দফায় সাড়ে এগারোশো কর্মী নিয়োগ করা হবে। জট খুলছে থমকে থাকা পদোন্নতিরও। ইতিমধ্যেই চারশো জনের পদোন্নতি হয়েছে। আরও দেড় থেকে দু’হাজার কর্মীর পদোন্নতি নিয়ে বিবেচনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।
সরকারের এই প্রচারযন্ত্রকে কার্যকরী করে তোলার ব্যাপারে গত কয়েক বছর ধরেই ভাবনাচিন্তা করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কেন্দ্রের বর্তমান সঙ্কটের পরিস্থিতিতে সরকারি প্রচারযন্ত্রকে ব্যবহার করে মানুষের কাছে পৌঁছতে এখন আরও সক্রিয় কেন্দ্র। সরকারের এই পদক্ষেপকে সেই প্রেক্ষাপটেই দেখা হচ্ছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, প্রসার ভারতীর পেশাদার হয়ে ওঠার পথে মূলত দু’টি সমস্যা ছিল। তার প্রধান বিষয় হল, শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটির চরিত্র নিয়ে দ্বন্দ্ব। এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান না রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সেটা নিয়ে কর্মীরাও বিভ্রান্ত ছিলেন। সেই সমস্যা এখন মিটেছে। প্রসার ভারতীকে সরকারের অধীনে একটি কর্তৃপক্ষ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় সমস্যাটি হল কর্মীর খরা। ১৫ বছর ধরে প্রসার ভারতীতে নতুন নিয়োগ কার্যত হয়ইনি। বরং ৪৮ হাজারের বেশি কর্মীর মধ্যে থেকে প্রতি বছরই দেড় থেকে দু’হাজার কর্মী অবসর নিয়েছেন। নতুন ইঞ্জিনিয়ার বা টেকনিশিয়ান না নেওয়ায় সমসাময়িক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে পারেনি প্রসার ভারতী। পাশাপাশি পদোন্নতির প্রক্রিয়া আটকে থাকায় বিপুল সংখ্যক কর্মী-অফিসারের মধ্যে এসেছে হতাশাও। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অম্বিকা সোনি আজই নতুন কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রসার ভারতীর সিইও জহর সরকারকে। এ ব্যাপারে জহরবাবু বলেন, “প্রসার ভারতীকে আরও সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত খুবই কার্যকরী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, প্রসার ভারতীর মূল সমস্যাটা যতটা না ছিল আর্থিক, তার থেকে বেশি ছিল মানবসম্পদের ঘাটতির।”
জহরবাবু জানান, “প্রথম দফায় ১ হাজার ১৪৫ জন কর্মী নিয়োগ করা হবে। নেওয়া হবে ১২০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসিস্ট্যান্ট ৪০০ জন, টেকনিশিয়ান ১০০ জন, প্রোগ্রামিং(এ ডি) ৭৫ জন, প্রোগ্রাম এগজিকিউটিভ ১২০ জন, ট্রান্সমিশন এগজিকিউটিভ ২৭০ জন এবং ক্যামেরাম্যান ৬০ জন।”
প্রসার ভারতী সূত্রে বলা হচ্ছে, চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার চেষ্টা হবে। |
|
|
|
|
|