পাড়ার গ্যারাজে গাড়ি সারানোর দিন শেষ হতে সম্ভবত আর দেরি নেই। কারণ, ব্যবসা বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির গ্যারাজ তৈরির ব্যবসাকেই এ বার পাখির চোখ করছে বিভিন্ন গাড়ি সংস্থা। সেখানে সারানো যাবে সব ধরনের (মাল্টি ব্র্যান্ড) গাড়িই।
প্রথা মাফিক, যদ্দিন ‘ওয়ার্যান্টি’ আছে, কোম্পানির গ্যারাজেই গাড়ি নিয়ে হাজির হন ক্রেতা। কিন্তু তার পর আর সে পথ মাড়ান না বললেই চলে। সংশ্লিষ্ট গাড়ি কোম্পানি ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তির গ্যারাজও যথেষ্টই কম। সেই ঘাটতি থেকেই তৈরি হচ্ছে সব ধরনের গাড়ি সারানোর আধুনিক গ্যারাজ তৈরির বাজার। যেখানে ওয়ার্যান্টি-র পরেও সব সুবিধা মিলবে। সেই ব্যবসাকেই পাখির চোখ করছে টিভিএস গোষ্ঠীর টিভিএস অটোমোবাইল সলিউশন্স-এর মতো বিভিন্ন সংস্থা।
গাড়ি শিল্পের হিসেবে, যত গাড়ি বিক্রি হয়, ওয়ার্যান্টি-র পরে তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ সারাইয়ের জন্য ফের কোম্পানির গ্যারাজে ফেরত আসে। বাকিদের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির গ্যারাজ তৈরির ব্যবসা ক্রমশ বাড়ছে। কারণ সাধারণ গ্যারাজে পরিষেবার মানের সঙ্গে আপস করতে হয় বলে অভিযোগ। |
মারুতি থেকে অবসরের পরে সব ধরনের গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট পরিষেবার ব্যবসায় পা রেখেছেন মারুতির প্রাক্তন সিএমডি জগদীশ খট্টর। একই পথে টিভিএস অটোমোবাইল সলিউশন্স-ও। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আধুনিক গ্যারাজ তৈরির পরে এ বার রাজগরিয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ শহরে পা রাখল তারা।
গুণগত মানের সঙ্গে আপস না-করে পরিষেবা মিলবে তাঁদের গ্যারাজে, দাবি টিভিএস অটোমোবাইল সলিউশন্স-এর প্রেসিডেন্ট আর শ্রীবৎচনের। মিলবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার যন্ত্রাংশও। এ জন্য তাঁরা সংশ্লিষ্ট গাড়ি ও যন্ত্রাংশ সংস্থার সঙ্গেও গাঁটছড়া বেঁধেছেন। তারাতলায় প্রথম কেন্দ্রটির পরে চলতি অর্থবর্ষে তাঁরা যৌথ উদ্যোগে তিনটি গ্যারাজ খুলবেন। আগামী তিন বছরে রাজ্যে চালু হবে আরও ১২টি কেন্দ্র। এ ধরনের পরিষেবা কেন্দ্র চালু হলে বিশেষ করে হাতফেরতা গাড়ির ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা হবে ও খরচও কম পড়বে, দাবি মহীন্দ্রা ফার্স্ট চয়েসের জেনারেল ম্যানেজার দেবদূত বাগচীর।
২০১৪ সালের মধ্যে টিভিএস অটোমোবাইল সলিউশন্স দেশ জুড়ে নিজস্ব ১০০-১৫০টি এ ধরনের পরিষেবা কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি-র মাধ্যমেও খোলা হবে ৩০০-৫০০টি কেন্দ্র। গত অর্থবর্ষে টিভিএস অটোমোবাইল সলিউশন্স ৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। এ বার তা ১০০ কোটি ছোঁবে বলে আশা সংস্থার। ২০১৪-র মধ্যে ৪০০ কোটি টাকা ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন তাঁরা। |