|
|
|
|
মদের দোকান খোলা নিয়ে সাফাই-প্রতিবাদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
একটি মদের দোকানের পক্ষে-বিপক্ষে স্মারকলিপি, পাল্টা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে। সম্প্রতি টাউন স্টেশন লাগোয়া শহরের জয়ন্তী পাড়ায় একটি মদের দোকান খোলাকে কেন্দ্র করে এলাকার বাসিন্দারা নাগরিক কমিটি তৈরি করে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। পাল্টা আরও একটি নাগরিক কমিটি গঠন করে এলাকায় চোলাই মদ রুখতে সরকার অনুমোদিত মদের দোকানের পক্ষে সওয়াল শুরু করেছেন একাংশ বাসিন্দা। দু’পক্ষের দাবি পাল্টা দাবি চলতে থাকায় জড়িয়ে পড়েছে শহরের বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালীদের নামও। জয়ন্তী পাড়া নাগরিক কমিটির তরফে গত বুধবার জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়ে এলাকার মদের দোকানটির অনুমোদন বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে। দাবি মানতে প্রশাসনের ওপরে চাপ সৃষ্টি করতে জেলাশাসকের দফতরে রাতভর অবস্থান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি। অন্যদিকে ২ নম্বর ঘুমটি ও স্টেশন রোড নাগরিক কমিটির তরফে জয়ন্তী পাড়া এবং স্টেশন লাগোয়া এলাকায় অবৈধ মদের ব্যবসা বন্ধ করতে সরকার লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকানের পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা প্রবাল রাহা সহ জয়ন্তী পাড়ার কিছু নাগরিকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ করে জেলা শাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে দুই নম্বর ঘুমটির নাগরিক কমিটি। জয়ন্তী পাড়া নাগরিক কমিটর আহ্বায়ক এলাকার কংগ্রেস কাউন্সিলার নারায়ণ সরকার বলেন, “জয়ন্তী পাড়ার মত এলাকায় মদের দোকান খোলা যাবে না। পাশাপাশি মদের দোকান খুলতে যে আইন মানার প্রয়োজন হয় তাও মানা হয়নি। এ নিয়ে তদন্ত প্রয়োজন।” দুই নম্বর গুমটির নাগরিক কমিটির সম্পাদক সঞ্জিত পাসোয়ানের অভিযোগ, “স্টেশন বরাবর এলাকা জুড়ে অবাধ চোলাই মদের কারবার চলে। তার ফলে যে কোনও দিন সংগ্রামপুরের বিষমদ কাণ্ড জলপাইগুড়িতেও ঘটে যেতে পারে। সরকার এই এলাকায় মদের দোকান খোলায় চোলাই বা ভেজাল মদের কারবার কমে যাবে। এই বাস্তব না বুঝেই কিছু লোক ব্যবসায়ীক স্বার্থে লাইসেন্স প্রাপ্ত দোকানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।” |
|
|
|
|
|