|
|
|
|
নালিশ বামেদের |
রফায় থমকে ‘ব্যবস্থা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নানা ধরনের লেনদেনের কারণেই পুর এলাকায় বেআইনি বাণিজ্যিক ভবনগুলি ভাঙা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করল দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট। শুক্রবার মিত্র সম্মিলনী হলে এক কনভেনশনে বামেদের পক্ষে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মেয়র তথা পুরসভার বর্তমান বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম সহ সব নেতারাই ওই অভিযোগে সরব হন। পুরসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “বেআইনি বাণিজ্যিক ভবন ভাঙা হবে বলে কংগ্রেস-তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের অনেকেই হইচই করছেন। কিন্তু একটাও ভাঙা হচ্ছে না।” তিনি বলেন, “মেয়র হোটেল নিয়ে পুরসভার কাছে অভিযোগ রয়েছে। আদালত পর্যন্ত বিষয়টি গড়িয়েছে। পুরসভা হাত গুটিয়ে বসে।” নুরুলবাবুর অভিযোগ, “বেআইনি বাণিজ্যিক ভবন চিহ্নিত হচ্ছে। তা ভাঙা হোক বলে কখনও কংগ্রেস দাবি তুলছে। তৃণমূল কিছু করতে দিচ্ছে না। আবার কখনও তৃণমূল একই অভিযোগ তুলছে। কংগ্রেস তা ভাঙতে দিচ্ছে না। সন্দেহ হচ্ছে, ‘কিছু পেলে’ বেআইনি বাণিজ্যিক ভবন ভাঙার দাবিদাররা চুপ করে যাচ্ছেন।” মেয়র হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে কাজল সরকার কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মনগড়া অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করছেন। কাজলবাবু বলেন, “আমরা বেআইনি কাজ করি না। সব মিথ্যে প্রচার হচ্ছে। বেআইনি কিছু থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” কিন্তু, পুজোর মুখে সেবক রোডের ফুটপাত বাঁশ দিয়ে কিছুটা আটকে রাখায় পথচারীদের যে অসুবিধে হচ্ছে সেই প্রশ্নে তাঁর বক্তব্য, “শীঘ্রই বাঁশ খুলে দেওয়া হবে।” ঘটনা হল, কনভেনশনে সিপিএমের কার্যকরী জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারও কংগ্রেস-তৃণমূল বোর্ডের সমালোচনা করেন। চম্পাসারি, আশ্রমপাড়া, সেবক রোড, মহানন্দা পাড়া, হিলকার্ট রোড, বিধান রোড, হাকিমপাড়া, কলেজপাড়ায় ১১টি ভবনে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ পুরসভার কাছে রয়েছে। আরও অন্তত ৫০টি বাণিজ্যিক ভবনে নানা ধঅবৈধ নির্মাণ হয়েছে বলে কাউন্সিলরদের একাংশের অভিযোগ। কংগ্রেসের তরফে জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার এ দিন অভিযোগ করেছেন, বামেদের আমলেই শহরে ৩৬০০ বেআইনি বাণিজ্যিক ভবন হয়েছে। কংগ্রেস-তৃণমূলের বোর্ড তার অনেকগুলিকে চিহ্নিত করেছে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সব ধরনের বেআইনি বাণিজ্যিক নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে।” তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, বেআইনি বাণিজ্যিক ভবন ভাঙতে না-পারলে তার দায় কংগ্রেসের মেয়রকেই নিতে হবে। যদিও মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত এ দিনও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা বেআইনি বাণিজ্যিক ভবন কয়েকটি ভেঙে দিয়েছেন ও বাকিগুলোও ভাঙার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। |
|
|
|
|
|