ধান ও পাটের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর জন্য কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের কাছে দাবি জানালেন বামফ্রন্ট বিধায়কেরা। তাঁদের দাবি, পাট ও ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি যথাক্রমে তিন হাজার ও ১৫০০ টাকা করতে হবে। কৃষিমন্ত্রী অবশ্য বাম বিধায়কদের জানিয়েছেন, পাট ও ধানের সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই।
বাম বিধায়কদের দাবি, জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার (জেসিআই) মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে পাট কিনতে হবে। জেসিআই পাট না-কিনলে বা তাদের কেনার পরেও যে অতিরিক্ত পাট কৃষকদের কাছে থেকে যাবে, তা প্রয়োজনে রাজ্য সরকার কিনে নিক। প্রাক্তন পঞ্চায়েতমন্ত্রী তথা সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান শুক্রবার বলেন, সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি কমানোর জন্য রাজ্য সরকারকে ইতিবাচক ভূমিকা নিতেও তাঁরা অনুরোধ করেছেন। কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথবাবু মহাকরণে জানান, সহায়ক মূল্য বাড়ানো নিয়ে বাম বিধায়কদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। এই ব্যাপারে নির্ধারক ভূমিকা কেন্দ্রেরই। তবু পাটের সহায়ক মূল্য কী হতে পারে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্যের কৃষি দফতর ও কৃষকদের প্রতিনিধিদের এক দফা আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও আলোচনা হবে।
কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য, সারে ভর্তুকি দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই। এই সূত্রেই তিনি বলেন, “আমরা (তৃণমূল) যে সব বিষয়ে প্রতিবাদ করে কেন্দ্রীয় সরকার ছেড়ে এসেছি, তার মধ্যে সার ও পেট্রো-পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও রয়েছে।” কিন্তু তার পরেও কেন্দ্র সারের দাম বাড়িয়েছে।
এ দিনই চটশিল্পের সমস্যা নিয়ে রাজ্যের শ্রম দফতরে দাবিপত্র জমা দিয়েছে সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দেবাশিস দত্ত জানান, চটশিল্পের জন্য নির্দিষ্ট নীতি ঠিক করে পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা করার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানানোর পাশাপাশিই রাজ্য সরকারকে তাঁরা অনুরোধ করেছেন, চটকলগুলিতে শ্রমিকদের বকেয়া-সহ অন্যান্য সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য। |