রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এনে, সভার অনুমতি না-দিয়ে রাজ্য সরকার বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে বলে সরব হল বিজেপি-ও। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের জন্য জমিহারাদের পুনর্বাসনের দাবিতে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের সভা শেষের কিছু পরে বোমা ফেটেছিল। ওই ঘটনায় রাহুলবাবু জড়িত, এই অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। একই ভাবে হুগলিতে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের সভার পরে একটি সংঘর্ষের ঘটনায় তাঁর মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল প্রশাসন। বিজেপির এই দুই প্রথম সারির নেতাই আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর এই প্রবণতার নিন্দা করে শুক্রবার রাহুলবাবু বলেন, “এক জন রাজনৈতিক নেতার সভার পরে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা কী ভাবে আনা যায়?” শুধু রাজনৈতিক নেতা নয়, তাঁদের পরিবারের উপরেও শাসক দলের হেনস্থা বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেন রাহুলবাবু। পাশাপাশিই, তাঁর মন্তব্য, “রাজ্যের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাতে বিরোধীরা প্রকাশ্যে না বলতে পারে, তার জন্য কোনও সভার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।” প্রশাসন যে ভাবে বিরোধী নেতাদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করছে, তা রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনকেও জানাবেন রাহুলবাবুরা।
|
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে গত জুনে নিজের দফতরের যুগ্মসচিবের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছিলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরী। খোদ মন্ত্রীর সেই অভিযোগের কিছু দিনের মধ্যে ওই যুগ্মসচিবের হাত থেকে বেশ কিছু ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া নয়। এ বার ভাড়ার গাড়ি ব্যবহার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই যুগ্মসচিব। মন্ত্রীর নির্দেশেই ভাড়া-গাড়ির বিল নিয়ে যুগ্মসচিবের লিখিত কৈফিয়ত চাইলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের সচিব শেখ নুরুল হক। ওই যুগ্মসচিবকে বলা হয়েছে, গত মে মাস থেকে অগস্ট মাসের মধ্যে তাঁর ব্যবহার করা গাড়ির ভাড়া এবং তেলের খরচ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে হবে সাত দিনে। ওই দফতর সূত্রের খবর, যুগ্মসচিব ইতিমধ্যেই সচিবের কাছে তাঁর ব্যাখ্যা পাঠিয়ে দিয়েছেন। যুগ্মসচিব তাতে লিখেছেন, গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অর্থ দফতরের নির্দেশের বাইরে গিয়ে তিনি কোনও কাজ করেননি। এই ব্যাপারে বিভাগের তৎকালীন সচিবের অনুমোদনও নিয়েছিলেন।
|
বেতন বৃদ্ধি ও বোনাসের দাবিতে কলকাতা বিমানবন্দরের পণ্য বিভাগে কর্মীদের একাংশ শুক্রবার থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য পরিবহণ। বিদেশি পণ্য-বিমানে মালপত্র ওঠানো-নামানো বন্ধ আছে। প্রচুর টাকা লোকসান হচ্ছে। শাসক দল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন এই কর্মবিরতিতে সমর্থন জানানোয় বন্ধ না-করার বিষয়ে তৃণমূলের ঘোষিত নীতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের তরফে অবশ্য এই কর্মবিরতির কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
|
উৎসবের কলকাতায় পরিবহণ নিয়ে মানুষ যাতে দুর্ভোগে না-পড়েন, সেই জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি বলেন, “রাজ্যের পরিবহণ সচিবকে ওই টাস্ক ফোর্স তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টাস্ক ফোর্সের লোকজন শহরের বড় বড় বাস টার্মিনাসে নজরদারি চালাবেন।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, শুধু দূরপাল্লা বা ছোট রুটের বাস নয়, ট্যাক্সি বা অন্য যানবাহন পেতে মানুষের যাতে অসুবিধা না-হয়, তা-ও দেখবে টাস্ক ফোর্স। |