টেলিভিশনে ডিজিটাল সেট-টপ বক্স লাগানো নিয়ে কোনও রাজ্যের আপত্তি থাকলে কেন্দ্রীয় সরকার তা বিবেচনা করবে। এই আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অম্বিকা সোনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, সেট-টপ বক্স লাগানোর সিদ্ধান্ত কোনও ব্যক্তির নয়, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির। কেন্দ্রীয় সরকার একতরফা ভাবে এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে না। তা ছাড়া বক্স লাগানোর জন্য রাজ্যগুলিকে অনেক সময়ও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সোনি বলেন, “কেন্দ্র এই ব্যাপারে অনড় মনোভাব নিয়ে বসে থাকছে না। কোনও রাজ্য এই নিয়ে আপত্তি জানালে কেন্দ্র তা বিবেচনা করবে।”
সমস্যা হল, সোনি দিল্লিতে এমন আশ্বাস দিলেও শুক্রবার পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও বার্তা মহাকরণে পৌঁছয়নি। এর আগে, ২৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সেট-টপ বক্স লাগানোর সময়সীমা অনির্দিষ্ট কাল বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই চিঠির কোনও জবাব আসেনি। এই অবস্থায় সেট-টপ বক্স লাগানোর সময়সীমা আগামী বছর ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাতে চলেছেন রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র।
|
অম্বিকা সোনি |
কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী দেশের অন্য তিন মেট্রো শহর দিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাইয়ের সঙ্গে কলকাতা মেট্রোপলিটন অথরিটি (কেএমএ) এলাকায় সেট-টপ বক্স লাগানোর শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর। সেই সময়সীমা শেষ হতে এখনও ১৯ দিন বাকি। কিন্তু নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর চিঠির উত্তর না-আসায় রাজ্য প্রশাসন উদ্বিগ্ন। তাই মুখ্যসচিব শুক্রবার মহাকরণের রোটান্ডায় এই নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে রাজ্যের তথ্যসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, কলকাতা পুরসভার কমিশনার, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া ও হুগলির জেলাশাসকেরা এবং কলকাতা পুলিশের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মুখ্যসচিব জানান, সেট-টপ বক্স নিয়ে রাজ্যের আগেকার আবেদনটিই এ বার সচিব স্তরে পাঠানো হবে। তথ্যসচিব জানান, রাজ্য চায়, সেট-টপ বক্স লাগানোর সময়সীমা অন্তত আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হোক। কারণ কেএমএ এলাকার সর্বত্র সেট-টপ বক্স লাগানোর কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে না।
কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুসারে ৩১ তারিখের পরে যদি অ্যানালগ কেব্ল সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়, তাতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। সেই জন্য পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য তিনটি মেট্রো শহরেও কেন্দ্রীয় নির্দেশের বিরোধিতা শুরু হয়েছে বলে জানান নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হাকিম। |