বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বনগাঁর শিকদার পল্লির বাসিন্দা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারি পরিমল বসুকে গুলি করে খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম দীপক বণিক। তিনি সর্ম্পকে পরিমলবাবুর শ্যালক বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরিমলবাবুর ছেলে আইনজীবী মৃন্ময়বাবুর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গাইঘাটার দেবীপুর থেকে শুক্রবার সকালে দীপককে গ্রেফতার করা হয়। দীপকবাবুর ছেলের নামেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বনগাঁ স্টেশন থেকে ভ্যানরিকশায় বাড়ি ফেরার সময় যোগেন্দ্রনাথ হাইস্কুলের কাছে যশোহর রোডে দুষ্কৃতীরা পরিমলবাবুকে গুলি করে খুন করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫-৬ জন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে এসে তাঁর উপর হামলা চালিয়ে কালুপুরের দিকে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, সুপারি কিলার দিয়েই এই খুন করা হয়েছে। তবে জমি সংক্রান্ত বিবাদেই যে পরিমলবাবু খুন হয়েছেন সে বিষয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়।
জেলা পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, ‘‘খুনের পিছনে সম্ভাব্য কারণগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ধৃতকে শুক্রবার বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক তার ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, “যেহেতু নিহতের ছেলে একজন আইনজীবী তাই এদিন ধৃতের পক্ষে কোনও আইনজীবী সওয়াল করেননি।” দীপকবাবু অবশ্য খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, বনগাঁ শহরে ক্রমাগত বেড়ে চলা ডাকাতি, বোমাবাজি ও গুলিচালনার ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগেও কথা বলেছি। আবারও বলব।” |