চার দিনের ব্যবধানে শুক্রবার ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর মাঠে সিপিএমের পাল্টা সভা করল তৃণমূল। সকাল থেকে বৃষ্টি হলেও সভার আগে তা থেমে যায়। পুলিশের হিসেবে, প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষ এসেছিলেন সভায়। তবে, পুলিশের এই হিসেব মানেনি তৃণমূল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের ভাইস-চেয়ারম্যান শক্তি মণ্ডলের দাবি, “বৃষ্টির কারণে অনেকে আসতে না পারলেও আমাদের সভায় দশ হাজার মানুষ এসেছিলেন। পুলিশ কী হিসেব দিল তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।” পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে গত রবিবার চন্দনেশ্বর মাঠেই সভা করেছিলেন সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ, রেজ্জাক মোল্লারা। এ দিনের পাল্টা সভায় মূলত, ক্যানিং-২ ব্লকের জীবনতলা, মউখালি, সোনারপুর এবং বারুইপুর থেকে আসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদেরই বেশি দেখা গিয়েছে। সাড়ে ৩টের সময়ে সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখনও সে ভাবে লোক না হওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা ফোন করে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আনার চেষ্টা করেন। অনেক নেতাদেরই দৌড়ঝাঁপ করতেও দেখা যায়। ৪টে নাগাদ সভা শুরু হয়। |
সভার মূল বক্তা তৃণমূল সাংসদ চৌধুরীমোহন জাটুয়া কেন্দ্রের খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। পঞ্চায়েত ভোটে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী দেওয়ার কথা বলেন। সভার মধ্যে দলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, এই অভিযোগ তুলে চন্দনেশ্বর-১ পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য আব্দুল মান্নান মোল্লা দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সাংসদ। তৃণমূলের দাবি, আব্দুল মান্নানের সঙ্গে প্রায় ২০০ জন সিপিএম কর্মী-সমর্থক তাদের দলে যোগ দিয়েছেন। সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাত্তার মোল্লা বলেন, “আমাদের ওই পঞ্চায়েত সদস্য গত লোকসভা ভোটের সময় থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে ওঠবসা করছিল। তবে, আব্দুল মান্নানের সঙ্গে অন্য কোনও দলীয় কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেননি।” আব্দুল মান্নান যে অভিযোগ তুলেছেন, তা ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন সাত্তার।
সভার আগে ভাঙড়ের শকুনতলা বাজারে সিপিএমের কৃষকসভার একটি দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো এবং বোদরা বাজার, কালীতলা বাজার, সুন্দিয়া বাজার-সহ বিভিন্ন জায়গায় সিপিএমের দলীয় পতাকা ও ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও এ নিয়ে থানায় সিপিএমের পক্ষ থেকে রাত পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। |