বাংলাদেশি এক দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় চরমেঘনার চার সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শুক্রবার তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে সকাল থেকে টানা দুপুর পর্যন্ত হোগলবেড়িয়া থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন চরমেঘনা গ্রামের প্রায় শ’পাঁচেক বাসিন্দা। সেই বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয় প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতারাও। পুলিশ অবশ্য অভিযুক্তদের ছাড়েনি। ধৃতদের এ দিন তেহট্ট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |
এ দিন সকালেই, ধৃতদের থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথ আটকে রয়েছেন গ্রামবাসীরা, খবর পেয়েই আসেন তেহট্টের মহকুমাশাসক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। গ্রামবাসীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন তাঁরা। এসডিপিও বলেন, ‘‘ধৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি মেনে নেওয়া কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। ধৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’’ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের উপরে পুলিশ বেপরোয়াভাবে লাঠিও চালায়।
বুধবার গভীর রাতে মাথাভাঙা সাঁতরে চরমেঘনা গ্রামে চুরি করতে আসে জনা পাঁচেক বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। তাদের এক জনকে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় বাংলাদেশের জামালপুরের আলম হোসেন নামে এক যুবকের। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ চরমেঘনার চারজনকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামের বাসিন্দারা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান।
চরমেঘনার বাসিন্দা তথা করিমপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কংগ্রেসের উত্তম সর্দার বলেন, ‘‘এতদিন বাংলাদেশি দুষ্কৃতী আর বিএসএফের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলাম। এ বার তার সঙ্গে পুলিশের অত্যাচারও যোগ হল।” |