ছেলেধরা সন্দেহে ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা এক দম্পতিকে বেধড়ক মারধর করল গ্রামবাসীরা। তাঁদের উদ্ধার করতে এলে পুলিশকেও ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হরিপালের পশ্চিম গোপীনাথপুর পঞ্চায়েতের মোড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, আহত দম্পতির নাম অমিতা এবং হরিসিংহ চৌহান। তাঁরা মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। এ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে হাতঘড়ি বিক্রি করেন। গোটা ঘটনার কথা হরিপাল থানায় লিখিত ভাবে জানিয়েছেন তাঁরা। এসডিপিও (চন্দননগর) সৈকত ঘোষ বলেন, “মারমুখী জনতার হাত থেকে পুলিশ ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। পুলিশকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি করা হয়। নির্দিষ্ট মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ মাঝবয়সী ওই দম্পতি মোড়া নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ঘড়ি বিক্রি করছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকদের একাংশের সন্দেহ হয়, তাঁরা ‘ছেলেধরা’। দু’জনকে স্কুলের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। রটে যায়, একটি ছাত্রকে মোটর বাইকে তুলে ‘অপহরণ’ করে পালাচ্ছিলেন ওই দম্পতি। ওই খবর ছড়াতেই ঘটনাস্থলে প্রচুর ভিড় জমে যায়। শুরু হয় মারধর। হরিসিংহের চোখে আঘাত লাগে। শেষ পর্যন্ত, পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে পাঠানো হয়েছে ইমামবাড়া হাসপাতালে। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে অবশ্য পুলিশের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। পুলিশ জানায়, ওই দম্পতির কাছ থেকে কিছু হাতঘড়ি পাওয়া গিয়েছে। অকারণেই তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। |