অবশেষে কিছুটা আশার আলো। পরপর দু’মাস কমার পর ঘুরে দাঁড়াল শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার।
কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সংস্কারের সাহসী সিদ্ধান্তে সাড়া দিয়ে ঝিমিয়ে পড়া শিল্প ক্ষেত্র আরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলেই আশা বিশেষজ্ঞদের। তবে লগ্নিতে উৎসাহ দিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে সুদ কমানোর পথে হাঁটার পরামর্শই দিয়েছে শিল্পমহল। কারণ শিল্পোৎপাদনের যৎসামান্য বৃদ্ধি তাদের হতাশ করেছে।
অগস্টে শিল্পোৎপাদন বেড়েছে ২.৭%। এর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক হল কল-কারখানায় উৎপাদন ২.৯% বাড়া। ভারতের জাতীয় আয়ে কারখানার উৎপাদনের অবদান প্রায় ১৫%। তা আগের বছর ছিল ৩.৯%। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি মাত্র ১.৯%। আগের বছরের হার ৯.৫%। মূলধনী পণ্য উৎপাদন সরাসরি কমেছে ১.৭%। গত অগস্টে তা বেড়েছিল ৪%। খনন ক্ষেত্রে অবশ্য বৃদ্ধি ২%, যেখানে আগের বছর তা সঙ্কুচিত হয়েছিল ৫.৫%। গত বছরের অগস্টের ৩.৪ শতাংশের তুলনায় ২.৭% শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধিও অনেকটাই কম। যদিও জুলাই এবং জুনে তা কমেছিল যথাক্রমে ০.১৮% এবং ১.৮%। এর আগে প্রাথমিক হিসাবে জুলাইয়ের বৃদ্ধির হার ০.১% ধরা হলেও সংশোধিত হিসাবে তা কমে যায়। |
রয়টার্সের এক সমীক্ষায় অগস্টে ১.১% শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কার্যত শুক্রবার প্রকাশিত সেন্ট্রাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অর্গানআইজেশন-এর পরিসংখ্যানে ওই পূর্বাভাস ছাপিয়ে গিয়েছে। যা অর্থনীতির হাল ফেরার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সি রঙ্গরাজন বলেন, “কারখানার উৎপাদন যে কিছুটা হলেও চাঙ্গা হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। আশা করব সারা বছরের জন্য এ ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়বে ৩-৪% হারে।”
ইনফোসিসের আর্থিক ফলাফলে পতন সূচকের। ইনফোসিসের আর্থিক ফল খুশি করতে পারল না শেয়ার বাজারকে। ফলে শুক্রবার সেনসেক্স ১২৯.৫৭ পয়েন্ট পড়ে থামল ১৮,৬৭৫.১৮ অঙ্কে। চলতি অর্থবর্ষের বাকি সময়ের আয়ও পূর্ব ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে কম হওয়ার সম্ভাবনা বলে ইঙ্গিত সংস্থার। আগে বলা হয়েছিল আয় বৃদ্ধি হবে ১৯.৭%। এখন বলা হচ্ছে তা ১৭.৩ শতাংশেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এই তথ্য লগ্নিকারীদের নিরাশ করেছে। তবে সংস্থা এই অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তাদের মুনাফা ২৪% বাড়িয়ে করেছে ২৩৬৯ কোটি টাকা। ইনফোসিসের ফলাফলের প্রভাব বাজারে এ দিন এতটাই ছিল যে, টানা দু’মাস পর শিল্পোৎপাদনের হার বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধির হার কমার খবরও উৎসাহিত করতে পারেনি লগ্নিকারীদের। |