আবহাওয়ার খেয়ালে কমেছে উৎপাদন। যোগান কম থাকায় দাম সামান্য বাড়লেও মহালয়ার পর থেকে বাজার কেমন থাকবে সেই প্রশ্নে উদ্বিগ্ন জলপাইগুড়ি জেলার কয়েক হাজার ক্ষুদ্র চা চাষি। গত বছর পুজোর কয়েকদিন আগে কাঁচা পাতার দাম এতটাই কমেছিল যে চাষিরা কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। কাঁচা পাতার দাম নেমে ৩ টাকা কেজি দাঁড়ায়। চাষিরা শঙ্কায় ভুগছেন এ বারও ওই সমস্যা হবে না তো! এক মাস আগে পাতার দাম নেমে দাঁড়ায় ৮ টাকা কেজি। চাষিরা ধরে নিয়েছিলেন পুজোয় আর দাম বাড়বে না। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করে। দাম বেড়ে হয় ১৪ টাকা। চাষিদের কয়েকজন জানান, সেচের জন্য ডিজেল, সার, কীটনাশকের দাম ও শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় ১ কেজি পাতা উৎপাদনে খরচ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা। সঙ্গে রয়েছে বাড়তি পরিবহণ খরচ। বাজারে যে দাম মিলছে সেটা মন্দের ভাল। কেজি প্রতি দাম ২০ টাকা পাওয়া গেলে লোকসান সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। পুজো ভাল কাটবে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “পুজোর মধ্যে দাম বাড়বে মনে হয় না। মহালয়ার পরে দাম যেন না কমে এখন দেবীর কাছে এটাই প্রার্থনা।” ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশি বৃষ্টিপাত এবং কম রোদের কারণে এ বার ২৫ শতাংশ কম পাতা উৎপাদন হয়েছে। ফলে বাজারে পাতার জোগান কমে দাম বেড়েছে। কিন্তু সেটা কত দিন থাকবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নর্থ বেঙ্গল স্মল টি প্ল্যন্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নিতাই মজুমদার বলেন, “এখন যা দাম আছে তা থাকলে ভাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে জানি না।” পুজোর পরে বাড়তি উৎপাদনের ফলে দাম তলানিতে ঠেকার আশঙ্কায় চাষিরা।
|
চিনির দামের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি তুলে নেওয়ার সুপারিশ করল সি রঙ্গরাজনের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে চিনিকলগুলিকে খোলা বাজারে চিনি বিক্রির স্বাধীনতা দেওয়া এবং রেশনে সরবরাহের জন্য সরকারের তরফে তাদের কাছ থেকে বাজার দরের চেয়ে কম মূল্যে চিনি কেনার নিয়ম বাতিল করা। পাশাপাশি, পণ্যটির আমদানি-রফতানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলারও আর্জি জানিয়েছে তারা। জানুয়ারিতে চিনির দাম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই কমিটি গঠন করেছিলেন মনমোহন সিংহ। কমিটির মতে, বেশির ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রেই এই ধরনের নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই চিনির উপর থেকেও তা তুলে নেওয়া যেতেই পারে। রেশন দোকানে বিক্রির জন্য চিনিকল থেকে কম দামে চিনি কেনা বন্ধ করার প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। চিনি উৎপাদক সংস্থাগুলি যাতে তাদের আয়ের ৭০% চাষিদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়, সে কথাও বলা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে। এ জন্য মিলগুলিকে চাষিদের সঙ্গে দীর্ঘকালীন চুক্তি করার কথা জানিয়েছে তারা।
|
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় পর্যটনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পযর্টন সংস্থা ও ট্যুরিস্ট গাইডদের সঙ্গে আলোচনা করলেন বন কর্তারা। শুক্রবার রাজাভাতখাওয়া প্রকৃতিবিক্ষণ কেন্দ্রে ওই বৈঠক হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর জেভি বলেন, “পযর্টন শিল্পে নানা সমস্যা ও তার সমাধানের বিষয়ে এ দিন আলোচনা হয়েছে।” উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়, হোটেল মালিক, হোম ট্যুরিজম প্রতিনিধি ও গাইডরা।
|
সামান্য কমে ১০ শতাংশের নীচে নামল ভোগ্য- পণ্যের সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি। অগস্টের ১০.০৩% থেকে কমে তা হল ৯.৭৩%। তবে চিনি, ভোজ্যতেল, সব্জি, ডালের দাম বাড়ার জেরেই এখনও চড়া এই হার। সর্বাধিক দাম বেড়েছে চিনির ১৯.৪%।
|
চেক বাউন্স করায় বিজয় মাল্য-সহ কিংফিশারের ৫ কর্তার বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য পরোয়ানা। পাইলটরা ধর্মঘটেই। বেড়েছে লক-আউটের মেয়াদও।
|
ডুয়ার্সের চিলাপাতায় পর্যটক টানতে শুক্রবার একটি সংস্থার উদ্যোগে চালু হল গরুর গাড়িতে জঙ্গল ভ্রমণ। পর্যটন সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর কনর্জাভেশন অ্যান্ড টুরিজম (অ্যাক্ট ) প্রাথমিক ভাবে ঠিক করেছে গরুর গাড়িটি চিলাপাতা, কুরমাই, আন্দু, বানিয়া সহ এলাকার বিভিন্ন বনবস্তি ও চা বাগান এলাকায় নিয়ে যাবে। ভাড়া ঠিক হয়েছে আড়াইশো টাকা।
|