থানায় ঢুকে মোটা টাকার চাঁদার রসিদ ধরানোয় একটি পুজো কমিটির সম্পাদক-সহ সদস্যের বিরুদ্ধে থানার ডিউটি অফিসারই অভিযোগ দায়ের করলেন। বৃহস্পতিবার দিনহাটা থানায় ঘঠনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী, দিনহাটা কলেজের শিক্ষক ওয়েবকুটার প্রাক্তন জেলা সভাপতি সাধন কর সহ আরও ৫ জনের নাম। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “বিষয়টি শোনার পর দিনহাটা থানার আইসি’র কাছে জানতে চাই। তিনি সেই রকম কিছু হয়নি বলে জানিয়েছেন। আমার কাছেও সরাসরি অভিযোগ আসেনি।” আইসি প্রদীপ সরকার মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ওই পুজো কমিটির সদস্যরা থানা ঢুকে চাঁদার রসিদ কাটেন। ডিউটি অফিসারকেও তিন হাজার চাঁদার রসিদ দেওয়া হয়। ওই অফিসার তা নিয়ে আপত্তি করায় তাঁরা পরে কথা বলবেন বলে টেবিলে রসিদ রেখে চলে যান। ঘটনার সময় সাবির সাহা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন বলে ওই অফিসার থানার জেনারেল ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন। ওই অফিসার বাসুদেব সান্যাল বলেন, “সংবাদমাধ্যমে কিছু বলব না। যা হয়েছে তা জেনারেল ডায়েরিতে উল্লেখ করেছি। যা বলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলব।” সাবিরবাবু এবং সাধনবাবু অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। টিএমসিপি জেলা সভাপতি সাবিরবাবু বলেন, “আমি ওই পুজো কমিটির সদস্য বা পদাধিকারী নই। ঘটনাচক্রে অন্য একটি কাজে থানায় গিয়েছিলাম। পাড়ার পুজোর কিছু ছেলে সেখানে যান। ডিউটি অফিসার সহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেই ওঁরা রসিদ কাটে। আমি ছিলাম মাত্র। আর সাধনবাবু দাবি, “থানার পুলিশ কর্মীদের আমরা পাড়ার সদস্য হিসাবেই দেখি। সেজন্যই কয়েকজন সেখানে যান। সকলের সঙ্গে কথা বলে রসিদ কাটা হয়। তখন কেউ আপত্তি বা প্রতিবাদ করেননি। অভিযোগ করার বিষয়ে জানি না।”
|
সুস্থ হয়েও গত প্রায় একমাস ধরে হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে দিন কাটছে ইতি শীল নামের এক মহিলার। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের ঘটনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মহিলাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে খবর পাঠায়। এরপরই ওই মহিলার ভাই স্বপনবাবু গ্রামবাসীদের একটি গণস্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি হাসপাতাল সুপারের কাছে জমা দিয়ে দাবি করেছেন, ওই মহিলা অনাথ। হাসাপাতালে রেখেই যেন তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। ওই চিঠিতে গঙ্গারামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সত্যেন রায়েরও সম্মতি সূচক স্বাক্ষর রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, ইতিদেবী এখন পুরোপুরি সুস্থ। কিন্তু পরিবারের লোকেরা তাঁকে নিয়ে যাচ্ছেন না। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।” বিধায়ক সত্যেন রায় বলেন, “ওই পরিবারের লোকেরা মহিলার মানসিক ভারসাম্যহীনতার কথা বলেছিলেন। চিকিৎসার জন্য আবেদনপত্রে সই করেছিলাম। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।” গত ৩১ অগস্ট োউ মহিলার ভাই স্বপন শীল তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান। স্বপনবাবু গঙ্গারামপুরের বিএলআরও দফতরে মুহুরির কাজ করেন। তাঁর দাবি, “আমি ইতিদেবীর পালিত ভাই। ওঁর সঙ্গে কোনও রক্তের সম্পর্ক নেই। আমার পাশে একাই বাড়িতে উনি থাকেন। অসুস্থ থাকায় গ্রামবাসীদের সাহায্যে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম মাত্র।”
|
দিনের বেলায় বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নগদ টাকা ও অলঙ্কার লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের তুলসীপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, ওই গৃহবধূর নাম মুনমুন সাহা। তাঁর স্বামী নির্মলবাবুর রায়গঞ্জের মোহনবাটি বাজারে দশকর্মার দোকান রয়েছে। ঘটনার সময় তিনি দোকানে ছিলেন। দম্পতির দুই ছেলেমেয়ে স্কুলে গিয়েছিল। দুপুরে মুনমুনদেবী বাথরুম থেকে শোওয়ার ঘরে ঢুকতেই দুই দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকি দেয়। তার পরে মুখ চেপে ধরে আলমারির চাবি নিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ৪ ভরি সোনার গয়না নিয়ে পালায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই ওই বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। পুলিশ দুষ্কৃতীদের তল্লাশি শুরু করেছে।
|
বাস ভাড়া থেকে বেহাল সড়ক, বিভিন্ন প্রশ্নে রাজ্য সড়কের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব হলেন সিটুর রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার সিটুর উত্তর দিনাজপুর জেলার ষষ্ঠ জেলা সম্মেলেন শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে একটি প্রকাশ্য সভায় শ্যামলবাবু ওই অভিযোগগুলি করেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায়ও মুখর হন তিনি। শ্যামলবাবু বলেন, “বারবার বৈঠক হলেও বাস ভাড়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাস মালিকদের। রাজ্যে জুড়ে জাতীয় সড়ক বেহাল পড়ে। অনেক মালিক বাস তুলে নিচ্ছেন। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ।”
|
গাড়ি উল্টে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৯ জন। বৃহস্পতিবার সকালে চাকুলিয়ার কানকির হাটুয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওই গাড়িটি করে ২২ জন বিহারের শিরশি থেকে পূর্ণিয়া যাচ্ছিলেন। রাস্তায় গাড়িটি উল্টে ২০ জন আহত হন। তাঁদের জখম অবস্থায় বিহারের কিসানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই এক জনের মৃত্যু হয়।
|
বাংলাদেশের বাসিন্দা সন্দেহে ১৫০ মহিলা, ৫৩ টি শিশু-সহ ৪৩৭ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিল বিএসএফ। বৃহস্পতিবার তুফানগঞ্জ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে ঠিকাদার মারফৎ বিহারে ইটভাটায় কাজে বাংলাদেশ সীমান্তের বালাভূত এলাকায় ৭ টি বাসে তারা চাপেন। সেই সময় বিএসএফের জওয়ানদের সন্দেহ হয়, ওই বাসে বাংলাদেশিরা মিশে রয়েছেন। তারপরেই বাসগুলিকে আটক করে বৃহস্পতিবার তাদের তুফানগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। |