রাস্তায় যানবাহন আটকে দুর্গাপুজোর চাঁদা আদায়কারীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে টহলদারিতে নেমেছে পুলিশের ‘বাইক বাহিনী’। জাতীয় সড়ক থেকে অলিগলির রাস্তা চষে বেড়াচ্ছেন সাদা পোশাকের ওই পুলিশ কর্মীরা। কাকভোর হোক কিংবা ভর দুপুর আপাতদৃষ্টিতে রাস্তা সুনসান ভেবে গাড়ি আটকে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে গত এক সপ্তাহে বাইক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন কোচবিহারের চারটি পুজো কমিটির ১৩ জন সদস্য। কোচবিহার কোতোয়ালি, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ থানা এলাকায় পরপর ঘটনাগুলি ঘটেছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “চাঁদার জুলুমবাজি বন্ধে সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি থানার পুলিশ কর্মীদের সাদা পোশাকে বাইক নিয়ে টহলদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত এক সপ্তাহে রাস্তায় যানবাহন আটকে চাঁদার জুলুমের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে ধরাও হয়েছে।” পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, জিপ দেখে চাঁদা আদায়কারীরা পালিয়ে যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি, জাতীয় সড়ক বা বড় রাস্তা পুলিশ ঢোকা মাত্রই মোবাইলে খবর পৌঁছে যাচ্ছিল আদায়কারীদের কাছে। এর জেরেই বাইক বাহিনী গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। প্রতিটি থানা এলাকায় সাদা পোশাকের ২টি বাইক বাহিনী বাহিনী গড়া হয়েছে। পাশাপাশি, নজরদারি বাড়ানোর জন্য প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ কর্তারা। গত শনিবার ভোরে তুফানগঞ্জের চিলাখানার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রথম গ্রেফতারের ঘটনাটি ঘটে। লাঠিসোটা নিয়ে ওই জাতীয় সড়কে রাতভর ট্রাক আটকে জুলুমবাজি চলছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে বাইক বাহিনীর সদস্যরা প্রথম এলাকায় গিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে। তার পরে মঙ্গলবার রাতে মাথাভাঙার গোলকগঞ্জে একই ভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতারকরা হয়। বুধবার রাতে কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ি ও ঢাংঢিংগুড়ি এলাকা থেকে ধরা হয় আরও ৩ জনকে। |