|
|
|
|
|
১ ২ ৩... তিলোত্তমা হাজির
এলাটিং বেলাটিং সই লো, পুজোর খবর আইল, সই ‘তিন সাজ’ চাইল। সকাল চোখ
ঝলসাবে না,
বিকেল জমকালো, আর রূপ
চাই তার নিখুঁত। জানাচ্ছেন অনিরুদ্ধ চাকলাদার |
|
|
|
সকালে ছিমছাম নো মেক-আপ লুক |
|
দিনের বেলায় অনেকে সাজতে পছন্দ করেন না। সেই কথা মাথায় রেখে মেক-আপ ব্যবহার করা হয়নি। বরং অল্প একটু বেস ব্যবহার করা হয়েছে। ইচ্ছে করলে সেটা না-ও করতে পারেন। সানস্ক্রিনের ওপর অল্প একটু ম্যাট ফিনিশড কমপ্যাক্ট লাগিয়ে নেবেন।
আর একটি অভিনব পদ্ধতি আছে। স্পঞ্জ ভিজিয়ে তাতে একটু কমপ্যাক্ট নিয়ে মুখে বোলালে ফাউন্ডেশনের কাজ করবে, সেটা আপনার ত্বকে খুব ভাল বসবে। আপনাকে দেখতেও অনেক উজ্জ্বল লাগবে। ক্লান্তির ছাপটিও চট করে ভ্যানিশ হয়ে যাবে। যেহেতু এটি দিনের বেলা, তাই আপনার পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে হালকা শ্যাডো ব্যবহার করুন।
এ ক্ষেত্রে সাদা হাইলাইটার ব্যবহার করা হয়েছে। কোল এবং আইলাইনার নৈব নৈব চ। শুধুমাত্র গাঢ় মাস্কারার ছোঁয়া থাকবে চোখের পাতায়। ব্রাউন কাজলের টান আপনার নো মেক আপ লুককে অন্য মাত্রা দেবে। হালকা ব্লাশ অন ও ন্যাচারাল লিপস্টিক লাগাতে ভুলবেন না। |
|
|
|
সন্ধ্যায় ধুমধাম |
সন্ধেবেলা আপনি একটু গাঢ় বেস ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে চোখের ওপর সরু করে কোল পেন্সিল দিয়ে একটা লাইন টানুন। সরু টিপ্ ব্রাশ-এ একটু আই শ্যাডো লাগিয়ে স্মাজ করে নিন। আই শ্যাডো না লাগালে কোল ছড়িয়ে যেতে পারে। তলার চোখের পাতায় কোল লাগিয়ে স্মাজ করে নিন। যদি স্মাজিং করতে খুব অসুবিধা হয় তবে ওই দিকে যাবেন না। চোখের ওপরের পাতায় মোটা করে আইলাইনার পরে নিন। তলার পাতা ফাঁকা রাখুন। অল্প ব্লাশ অন লাগান, আপনার নিজস্ব ত্বকের রং ও পোশাকের রঙের সঙ্গে মানানসই করে। তবে একটু ব্রাউন বা ন্যুড কালার হলেই ভাল হয়। চুলটি ক্যাজুয়াল ব্লো ড্রাই করে খোলা রাখতে পারেন বা হালকা একটি বেণীও করা যায়। |
|
|
খুঁত ঢাকতে মেক-আপ |
|
এক মাস আগে পুজোর কেনাকাটা কমপ্লিট। সমস্ত পত্র-পত্রিকার যত রকম মেক-আপ টিপস, উপটান সমস্ত হাতের তালুবন্দি। শুধু পুজোর চার দিন আসতে যা বাকি, প্রত্যেক মেয়েরই মনে হয়, হে ঠাকুর আমাকেই যেন সেরা লাগে, কিন্তু আপনার ভাগ্য! গাড়ি আসার কথা বিকেল পাঁচটায়, এসে গেল চারটেয়। কারণ অন্য জায়গায় আর একটা ট্রিপ আছে। সুতরাং মেক-আপ-এর জন্য সময় কমে গেল, যা করতে হবে চটজলদি। |
|
|
• মুখে দাগ থাকলে
আপনার স্কিন টোন অনুযায়ী কনসিলার লাগিয়ে সমান ভাবে মেশান। এর ওপর কমপ্যাক্ট বুলিয়ে নিন। অন্যান্য বিষয়গুলিও পদ্ধতি মেনে করতে হবে।
• বসা নাক টিকালো করতে হলে
আপনার ত্বকের রঙের থেকে দু’শেড গাঢ় রঙের শ্যাডো দিয়ে নাকের দু’পাশে, প্রথমে লাইন টেনে দিন, এর পর দু’দিকে লাইনটি মিশিয়ে দিন।
• সরু ও পাতলা ঠোঁট মোটা করতে
প্রথমে লিপলাইনার দিয়ে কিছুটা বাড়িয়ে ঠোঁটটি আঁকুন। এর পর লিপস্টিক লাগান। কিন্তু লিপলাইনার যেন দেখা না যায়, দেখা গেলে খুব খারাপ লাগবে। মোটা ঠোঁট সরু দেখানো একটু সময়সাপেক্ষ। প্রথমে বেস লাগিয়ে কিছুটা নীচ দিয়ে লিপলাইনার দিয়ে এঁকে নিতে হবে। মাথায় রাখতে হবে বাইরের আউটলাইন যেন দেখা না যায়। এর পর লিপস্টিক লাগিয়ে নিতে হবে।
• পুজোর ঝলমলে মেক-আপের
কিছু জরুরি টিপ্স
পুজোয় সনাতনী পোশাককে ধরে রাখুন। অর্থাৎ, শাড়ি পরুন। খুব সুন্দর সুতির শাড়ি, হালকা মেক-আপ, মানানসই টিপ অনেক বেশি নজর কাড়ে। ‘আমি মেক-আপ খুব পছন্দ করি না বা ঠিক ঠিক করতে পারি না, অথচ পুজোর সময় সাজতে হবে বলে বা আমি অনেক কিছু সরঞ্জাম কিনেছি, সেই কারণে সব রকম লাগিয়ে ফেললাম’ এটা করবেন না। টিপ সনাতনী পোশাকের সঙ্গে ভাল লাগে। যাঁদের কপাল বড়, তাঁরা বড় টিপ পরুন। যাঁদের ছোট, তাঁরা ছোট টিপ পরুন। কুর্তির সঙ্গেও টিপ পরতে পারেন, তবে ডেনিম-এর সঙ্গে নয়। গ্রাফিক ডিজাইন-এর টিপ পরুন, বা লম্বা একটি লাইন টেনে নিতে পারেন। কানে ঝোলা দুল। সাজার সময় স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা করে সাজবেন। বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরোচ্ছেন বা বন্ধুর বাড়িতে সন্ধিপুজো দেখতে যাচ্ছেন, দু’টি অবশ্যই আলাদা হবে।
• ব্যাগে রাখবেন: কমপ্যাক্ট, কাজল পেন্সিল, টিস্যু, ডিয়োডোর্যান্ট |
|
|
|
|
|