|
|
|
|
|
কী খাব আমি কী খাওয়াব |
বচ্ছরকার দিন ক’টায় বাঙালিমাত্রেই দামোদর শেঠ। বাড়ির খানায় তীব্র অরুচি।
অতএব, মন চল রেস্তরাঁ অভিযানে। জমিদারি পোলোয়া, লাহোরি চিংড়ি,
আরবি সোয়ার্মা। কোনটা কোনখানে?
|
|
জোডিয়াক, ফরচুন সিলেক্ট লাউডন |
যোগাযোগ: ৯১৬৩৩৬১৩০৭ |
পুজোর ভোজ-এ এই মাল্টিক্যুইজিন রেস্তরাঁর বিশেষ আকর্ষণ ভাজাভুজির থালা। থাকবে একাল সেকালের বাংলা খাবার। যেমন জমিদারি হেঁসেলের বাটি চিংড়ি, সর্ষে মাছ, নারকেল বাটা মুরগি, দই পটল, নরম ভাজা ভাজা ছানার ডালনা আর সঙ্গে গরম গরম লুচি ও পরোটা, অষ্টমীর অমৃত ছোলা নারকেলের ডাল, সোনামুগের ঘন ডাল, আর মিষ্টির ওদিকে সুগন্ধি ক্ষীরকদম। |
|
|
হায়াত রিজেন্সি |
যোগাযোগ: ২৫১৭-১৬২৭/ ১৬৪৮ |
পুজোর সময় ওয়াটারসাইড কাফেতে থাকবে হারিয়ে যেতে বসা বাঙালি খাবার। যেমন কচু ওলের সর্ষে বাটা, নারকেল পটলের দোলমা, দুধ ইলিশ, চিংড়ির গ্রামীণ রান্না। গুচ্চিতে থাকবে ভেটকি কবিরাজি, চিংড়ি মাছের চপ, অল্প খোসা লাগানো বড় বড় আলু দেওয়া মাংসের উপাদেয় ঝোল, পোস্ত মুরগি ইত্যাদি। |
|
|
|
দ্য ওয়াল |
যোগাযোগ: ৯৯০৩৯৭৫৬২৪ |
রেস্তরাঁটির বৈশিষ্ট্য দূর প্রাচ্যের খাবার। থাকবে প্যানকো ফ্রায়েড চিকেন, চিকেন উইংস সিজুয়ান স্টাইল, লাতচু কলিফ্লাওয়ার, চিলি পাম সসে ডোবানো কুড়মুড়ে আলু, চিলি ক্র্যাব, চিলি কর্নের সঙ্গে জাপানি মাছের সুস্বাদু পদ, তোসি সস, এগ প্ল্যান্ট স্যুপ ইত্যাদি। শেষ পাতে থাকবে দূরদেশি মিষ্টি লেমনগ্রাস ক্রিম ব্রুলি। |
|
|
চার্নকস |
যোগাযোগ: ২৩৩৫-৩৪৯ |
উৎসবের দিনে দেশি-বিদেশি খাবারের জমজমাট আয়োজন। পেশওয়ারের তেল ঝরানো শুখা মাটন, দেশি সুপারস্টার চিকেন চাপ, বেবি লাচ্চা পরান্ঠা, নিরামিষাশীর স্বর্গ ভেজ বিরিয়ানি, কড়াই পনির। লাইভ পাস্তা কাউন্টারে শেফ রেডি করে দেবেন ম্যাকারোনি, পাস্তা অর্চিডা প্রভৃতি ইতালীয় ভোজবাজি। অন্যত্র সাজানো বাঙালির অতি আদরের ডাব চিংড়ি, কাঁচা লঙ্কা ইলিশ ভাপা, তন্দুরে পাকানো ভেটকি, দেড় আঙুল সাইজের চিংড়ি। আর বিদেশি আশ্চর্য খাবার। লবস্টার থার্মিডোর, ফিশ মিলানজা। |
|
|
তাজ বেঙ্গল, কলকাতা |
যোগাযোগ: ২২২৩-৩৯৩৯
|
সুক রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির নানান পদ। যেমন বহুখ্যাত সি-ফুড, সোয়ার্মা, পিতা। দ্য হাব-এর আহার্য তালিকায় বিভিন্ন জাতি ও দেশের সব থেকে নামী খাবার। বিরিয়ানি, রোল, পিজ্জা, পাস্তা, ডিজার্ট। শেনোয়াজ্রি’তে থাকবে প্রত্যন্ত উপকূল ও গ্রামাঞ্চলে অচেনা চিনা খাবার। সোনারগাঁওতে থাকবে বাঙালি হেঁসেলের সেরা চর্ব্য-চোষ্যরা। যেমন ধনেপাতা, পেঁয়াজ, লঙ্কা দিয়ে কষে কষে লাল করা পাঁঠার রেওয়াজি মাংস, পালং শাকের চচ্চড়ি, ধোকার সুস্বাদু ডালনা এবং সর্বোপরি গ্রামবাংলার গর্ব চিংড়ির মালাইকারি। পেট ভর্তি, মনেরও স্ফূর্তি। |
|
|
দ্য রেস্তরাঁ অন দ্য ফার্স্ট ফ্লোর |
যোগাযোগ: ২৪৬৪-৭৬৪৪ |
এই রেস্তরাঁয় সারা বছর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা দেশ নানা প্রদেশের খাবার পরিবেশন করা হয়। কিন্তু পুজোর সময় সারা বছর যে যে খাবারগুলো মন টেনেছে, তাদের বাছাই করে স্পেশ্যাল মেনু বাছাই করেন শেফ সঞ্চয়িতা ভট্টাচার্য আলম। যেমন ভেজ স্টার্টারে থাকবে নরম ভুট্টাদানার কুড়কুড়ে হরা মকাই, নন-ভেজ-এ পাবেন আচারে জারানো উনুনে বানানো কাঠকয়লার গন্ধ ভরা মুর্গ টেংরি, লঙ্কা, পুদিনা, আনারদানা দিয়ে রাঁধা হরিয়ালি মাহি টিক্কা। মেন কোর্সে আসবে তাওয়ায় তৈরি ভুনি মছলি, প্রন মুফজ্জল। এ ছাড়া জিপসি লোকেদের চুল্লির ইস্পেশ্যাল মাংস বনজারা। |
|
|
সিক্স, বালিগঞ্জ প্লেস |
|
যোগাযোগ: ২৪৬০৩৯২২ (বালিগঞ্জ) / ২৩৩৭-২১২০ (সল্টলেক) |
প্রতিদিন শুরুতে গন্ধরাজ দই ঘোল, মুক্তো-সাদা ঝুরো ভাত, মশলাদার শুক্তো। ষষ্ঠীতে থাকবে মুগ মুসুর মসালা, তেকোনা অল্প অল্প খোসা ওঠা পরোটা, কাঁচালঙ্কা ধনেপাতা মাখানো মুরগি, ভাপানো চিংড়ি, আচার দেওয়া রেওয়াজি মাংস। সপ্তমীতে বোঁটাওয়ালা এলোকেশী বেগুনভাজা, কাসুন্দি দেওয়া আলুর দম, সর্ষে চোবানো ইলিশ, মুরগির নশি কাবাব, চিতল মাছের বড়ার কড়মড়ে রোস্ট, কষা মাংস আর বেকড মিহিদানা রাবড়ি। অষ্টমীর অঞ্জলির উপবাস ভঙ্গ করতে খাবেন থকথকে পঞ্চরত্ন ডাল, লাহোরি পদ্ধতিতে শুকিয়ে জারানো ভুনো চিংড়ি, মুরগির দোপেঁয়াজা। নবমী, দশমীর মুগডালে থাকবে আম-আদার পেট চনমন খোশবাই, সঙ্গে সুগন্ধি হিঙের কচুরি, সব্জি মরিচে সাঁতলানো চমৎকারি পোলোয়া, বরিশালের স্টিমারে রাঁধা মুরগি, কাতলা মাছের বোম্বাই রোস্ট আর মিষ্টিতে ইন্দ্রাণী অমৃত-ভাণ্ড। |
|
|
কষে কষা |
যোগাযোগ: ৬৪৬০৬৪০১ |
পুজোর সময় কষে কষার বাঙালি মেনু আ-লা-কার্ত পদ্ধতিতে সাজানো হবে। তাতে থাকবে চিংড়ির বিরিয়ানি, আম আদা দিয়ে ভাপানো দেশি মুরগির তুলতুলে ছানা, আম কাসুন্দি দিয়ে রাঁধা প্রমাণ সাইজের গলদা চিংড়ি, গোটা ভেটকি মাছ। মিষ্টিপাতে শাঁসাল রসাল ডাব-আইসক্রিম, আম দই। |
|
|
আইটিসি সোনার বাংলা |
যোগাযোগ: ২৩৪৫-৪৫৪৫ |
ইডেন প্যাভিলিয়নে থাকবে কলকাতা ক্যুইজিন-এর বুফে। তার মানে কিন্তু শুদ্ধু ঝোলভাত বা মাছভাজা নয়। খাবারের মধ্যে ধরা থাকবে কলকাতার বহুজাতিক ইতিহাস। ধুলোমাখা ফুটপাথের কিংবদন্তি কাঠি রোল আর ভরপেট্টাই মুঘলাই পরাঠা, ব্রিটিশদের কিচেনের প্রন ককটেল, ফিশ এন চিপস ( তাতে আবার থাকছে কলকাত্তাইয়া ভেটকি মাছ), নিশিবিলাসীদের ভারী আপন চিকেন আ লা কিয়েভ, স্টেক অ্যান্ড কিডনি পাই ইত্যাদি। পেশওয়ারিতে সাজানো থাকবে মধ্যযুগের ভারতের বাদশাহি কাবাব। এক পাশে সমুদ্রজীবের অপূর্ব স্বাদিষ্ট মাংস, অন্য দিকে নিরামিষাশীদের জন্যও সবজি খজানা-র লাখো আয়োজন। ওয়েস্ট ভিউতে গেলে আবার ক্ষুধাসুরটি পশ্চিমমতে জব্দ হবেন। সেখানে ভূমধ্যসাগরীয় খানাগুলি খেতে ভুলবেন না কিন্তু। |
|
|
|
|
|
|